নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের ব্যক্তিগত অর্থায়নে নির্মানাধীন দুটি স্কুল ঘুরে অভিভুত হয়েছেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান মিঞা মিয়া জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
রোববার ৩ এপ্রির দুপুরে সংসদ সদস্য সেলিম ওসামনের সাথে মুছাপুর ইউনিয়নে শামসুজ্জোহা এমবি ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় ও বন্দর ইউনিয়নের নাসিম ওসমান মডেল হাইস্কুল ঘুরে দেখেন।
জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান মিঞা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গাউছুল আজম সহ বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ রশিদ, জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল জাহের, বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, বন্দর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মিনারা নাজনীন, বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আব্দুল কালাম, স্কুল পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ সহ শামসুজ্জোহা এমবি ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ভবন ঘুরে দেখেন।
পরে তিনি সেখান থেকে বন্দর ইউনিয়নের পুরান বন্দর নাসিম ওসমান মডেল হাইস্কুলের নির্মানাধীন নতুন ভবন পরিদর্শনে গিয়ে ঘুরে দেখেন।
সেখানে সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানকে দেখে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা তার সাথে কথা বলতে দৌড়ে ছুটে আসে। সেলিম ওসমানও স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাথে হাসি ঠাট্টা করে আনন্দ করেন। জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান মিঞাও সংসদ সদস্যের মতই শিক্ষার্থীদের সাথে হেসে কথা বলেন। শিক্ষার্থীদের সাথে ছবি তুলেন। স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য সহ স্কুলের শিক্ষকেরা সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসকের সাথে সেলফি বন্দী হোন।
স্কুল দুটি ঘুরে দেখে জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান মিঞা তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমার এমনটা কোথাও চোখে পড়েনি। বন্দরের মত সারাদেশেও যদি এমনটা হতো। যাদের অর্থ আছে তারাই যদি করতো। উনি(সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান) যতটুকু করেছেন তার কাছাকাছিও যদি করতো তাহলে সারাদেশের চেহারা পাল্টে যেত। অবকাঠামোর জন্য যে সমস্ত স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা ঠিকমত লেখাপড়া করতে পারে না। ওই এলাকার লোকজন টাকা পয়সাও দিতে পারে সেই সকল এলাকায় যদি বিত্তবানেরা এগিয়ে আসতো তাহলে যার যার এলাকায় তাদেরও সুনাম হতো সেই সাথে ওই এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার মান অনেক দূর এগিয়ে যায়।
স্কুল গুলোর ভবিষ্যত নিয়ে তিনি বলেন, অবকাঠামোগত উন্নয়নের পর এখন যেটি মূল বিষয় হচ্ছে অবকাঠামোগত ভাবে উনি যেটা করে দিয়েছেন এর সাথে সমান ভাবে শিক্ষার মাননোন্নয়ন করা প্রয়োজন। আর এটি হচ্ছে শিক্ষকদের কাজ। শিক্ষার মান যদি না বাড়ানো যায় তাহলে শুধু অবকাঠামো উন্নয়ন দিয়ে হবে না। উনার দায়িত্ব উনি পালন করেছেন। এখন যে দায়িত্ব শিক্ষকদের পালন করার কথা অন্তত্য অবকাঠামোর জন্য উদ্বুত্ত হয়ে শিক্ষকেরা যদি একটু নজর দিয়ে পরিকল্পিতভাবে শিক্ষাদান করতে পারেন তাহলে বন্দর উপজেলায় শিক্ষার মান অনেক বেড়ে যাবে বলে আমি আশা করছি।