বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার ফেরদৌস আক্তার রেহেনাকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজেস্ট্রেট ৭তম আদালতে এই আদেশ দেওয় হয়। এর আগে আসামাী পক্ষের আইনজীবী আদালতে তার জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন না মঞ্জুর করে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন।
এদিকে সামসুন্নাহারের নামে এক নারীর দায়ের করা প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাত মামলায় শ্যোন এরেষ্ট দেখিয়ে কারাগারে পাঠায় আদালত।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবি এড এডভোকেট জান্নাতুল ফেরদৌস ওর্চি জানান, গ্রেপ্তার হওয়া রেহেনা আইনজীবী পরিচয় দিয়ে মামলা
পরিচালনা করার কথা বলে মানুষের কাছ টাকা আত্মসাত করে। প্রকৃত পক্ষে ফেরদৌস আক্তার রেহেনা সে কোন আইনজীবী না। সে ভূয়া আইনজীবী। রেহেনার বিরুদ্ধে সামসুন্নাহার নামে এক নারী প্রতারণা ও আত্মসাতের মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় আজ আদালত তাকে শ্যোন এরেষ্ট দেখিয়ে কারাগারে পাঠায়। আরেকটি ৫৪ ধারার মামলায় রেহেনার জামিনা আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। এবং পুলিশকে সাত দিনের ভিতর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
এর আগে নারায়ণগঞ্জে ফতুল্লা সস্তাপুর এলাকার বাসিন্দা আলোচিত ফেরদৌসি আক্তার রেহেনা আইনজীবী পরিচয় দিয়ে অর্থ আত্মসাত ও এক নারীকে মারধরের অভিযোগে ৫৪ ধারায় পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়ে আদালতের এপিপি এডভোকেট সুইটি ইয়াসমিন বলেন, ফেরদৌস আক্তার রেহেনা নিজেকে আইনজীবী পরিচয় দিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে। কিন্তু সে ভূয়া আইনজীবী। এই পরিচয়ে এক নারীর সাথে প্রতারণা করেছে। ভুক্তভোগী ওই নারী রেহেনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তাকে মারধর করে সে। আদালত পাড়ায় মানুষ যাতে হয়রানীর শিকার না হয় সে লক্ষ্যে টাউট ও প্রতারক মুক্ত রাখতে কাজ করছে জেলা আইনজীবীর সমিতির সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েল এবং সাধারণ সম্পাদক রবিউল আমিন রনি সহ নেতৃবৃন্দ। রেহেনার বিষয়টি জানতে পেরে তারা পদক্ষেপ নেয়। যার কারনে রেহেনা এবার আর পালাতে পারেনি। পরে লিগ্যাল অ্যাডের সহযোগীতায় ৫৪ ধারায় পুলিশ এই প্রতারক রেহেনাকে গ্রেপ্তার করে।