বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, গতকাল এক টেলিভিশনে দেখলাম আওয়ামীলীগের এক তথাকথিত এমপি। তিনি বললেন জিনিষ পত্রের দাম বেশী একটা লোক না খেয়ে মরছে বলেন তো। আমি হাসলাম। আপনার নির্বাচন ডামি বলেন যাই বলেন। আমি বলি সমকামী নির্বাচন। গুলি থাকতে না খেয়ে মরবে কেন। গুলি খেয়ে মরবে একেবারে না খেয়ে মরবে কেন? যেমন বর্ডার ক্লিন হচ্ছে। সীমান্তে আমাদের মানুষদের হত্যা করছে। আমাদের বর্ডার গার্ড আছে। আমরা হাজার হাজার কোটি টাকার গুলি কিনি অস্ত্র কিনি। আর ওইখানে চুপ করে দাড়িয়ে থাকি। জনগনের টাকায় গুলি কিনবো অস্ত্র কিনবো। আর সীমান্ত থেকে আমার জনগনের উপর গুলি আসবে। আমরা তার প্রতিবাদ করিনা। তাহলে আমার অস্ত্রের দরকার কি? আমার বর্ডার দরকার কি। কিছু চৌকিদার রেখে হ্যারিকেন দিয়ে পাহারা দিলেই তো যথেষ্ট।
শনিবার (৩০ ) সন্ধ্যায় নগরীর হোসিয়ারী সমিতির কমিউনিটি সেন্টারে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর আরো বলেন, জনগন ভোট বর্জন করে দেখলো। এটাই মনে হয় শেষ না। এবার আওয়ামীলীগ যাদের সহযোগীতায় তারা ক্ষমতায় আসে। ওবায়দুল কাদের জনগনের সামনে প্রকাশ্যে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীতে বলেছেন, গনতন্ত্রের বিশ্ব এতো ষড়যন্ত্র। ভারত যদি আমাদের পাশে না থাকতো আমাদের এই নির্বাচন টা করা সম্ভব হতো না। তার মানে তারা বুজায় দিছে তারা জনগন কর্তৃক নির্বাচিত না তারা ভারত কর্তৃক মনোনীত। ভারত, চীন ও রাশিয়া এই তিদেশের প্রোডাক্ট হলো আওয়ামীলীগ এবং এই সরকার। জনগন এখন ভোট বর্জন না ওদের যারা ক্ষমতায় আনে তাদের পন্য বর্জন করে। আরে পন্য তো বর্জন করছেন ২৭ জানুয়ারী। ভারতের নিম্ন মানের প্রোডাক্টই হচ্ছে আওয়ামীলীগ এবং এই সরকার। সুতরাং এটা যদি বর্জন করতে পারেন। আর অন্য কিছু বর্জন করার প্রয়োজন দেখা দিবে না।
তিরি আরো বলেন, স্বাধীনতার মাস উত্তাল মার্চ। সেসময় আমরা টগবগে যুবক। এই স্বাধীনতা যুদ্ধ কেমনে শুরু হয়েছে। কি হয়েছে কি না হয়েছে। এগুলো আমরা অবগত। এই ইতিহাস আমরা শেখ হাসিনা কিংবা তার দলের লোকের কাছে শোনার প্রয়োজন মনে করি না। কারন আমরা মাঠ থেকে শিখেছি দেখেছি এবং মাঠে থেকে কিছু করেছি। এই দাবিটা আমরা করতে পারি। আমরা জিয়াউর রহমানকে চিনতাম না জানতাম না। সেই ৭১ সালে ২৬ এবং ২৭মার্চ এ বেতার কেন্দ্রে তিনি একটি যুদ্ধের আহ্বান দিয়ে এবং স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছেন। সেই সাথে সবাইকে সেদিন স্বাধীনতার যুদ্ধে অংশগ্রহনের আহ্বান জানালেন। পাক সেনাদের থেকে এই মাতৃভূমিকে মুক্ত করার জন্য। যেই লোকটাকে চিনতাম না জানতাম না যেই লোকটা রাজনীতিও করতো না। তার ডাকে যদি আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করতে পারি। তাহলে আজকে এখান থেকে শিক্ষা নিতে হবে আন্দোলনের মাঠে যিনি সামনে থাকবেন তিনিই নেতা। তিনিই জনগনের নেতা। দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। শৃঙ্খলা না রাখলে কোন কাজের ফল লাভ করা যায় না। যে কোন সফলতার পূর্ব শর্তই হলো শৃঙ্খলা।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এ্ড. সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রিয় বিএনপির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু,যুগ্ন আহ্বায়ক সরকার হুমায়ন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজীব সহ যুবদল, ছাত্রদল ও বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।