গোলাপগঞ্জ,সিলেট,বিজয় বার্তা ২৪
গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাতে অব্যাহত থাকায় গোলাপগঞ্জের কুশিয়ারা নদী ভাঙ্গনের ফলে শরীফগঞ্জ ইউপির নদীর তীরবর্তী অসংখ্য বাড়িঘর এবং কয়েকটি গ্রাম পড়েছে হুমকির মুখে। এছাড়া নদীর পানি উপচে গিয়ে তীরবর্তী গ্রাম গুলোতে দেখা দেয় অকাল বন্যা। নদী ভাঙ্গনে আশংকাজনক অবস্থায় রয়েছে ইউপির বসন্তপুর, কদুপুর, খাটকাই,পনাইচক, মেহেরপুর, পানিয়াগা সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের বিস্তৃর্ণ জনপদ। ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে রাস্তাঘাট, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, খেয়াঘাট, লঞ্চঘাট, খেলার মাঠ, ফসলি জমি, গাছপালা, বসতভিটা, কালভার্ট সহ প্রভৃতি। ফলে দুর্বীষহ জীবন-যাপন করতে হয় ওইসব এলাকার মানুষদের। নদীর তীর ঘেষা খাটকাই-মেহেরপুরের বস্ততম সড়কটি নদী ভাঙ্গনের ফলে ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে পথচারীদের। কখন যেন নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায় ব্যস্থতম ওই সড়কটি এমন আশংকা সাধারণ মানুষের। ইতি মধ্যেই পনাইরচক জামে মসজিদ ও উচ্চ বিদ্যালয়ের নিকটস্থ রাস্তাাটি পুরোপুরি নদী গর্ভে চলে যাওয়ায় বিপাকে পনাইর চক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সে সব এলাকার মানুষজন।
শরিফ ইউপির নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান এম এ মুহিত হিরার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, পনাইর চক স্কুলের নিকটবর্তী রাস্তাাটি নদী ভাঙ্গনে পুরোপুরি নদী গর্ভে চলে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে এ এলাকার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ পনাইর চক উচ্চ বিদ্যালয়টিও। আমি সরেজমিন পরিদর্শন করেছি এবং অন্য পাশ দিয়ে বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাছাড়া খুব শিগগির নদী ভাঙ্গন রোধে ইউনিয়নের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।স্থানীয় লোকজন জানান, ইতিমধ্যে কুশিয়ারা নদী ভাঙনের শিকার হয়ে খাটকাই-পনাই চক গ্রামের শত শত পরিবার নিঃস্ব হয়ে অন্যত্র বসবাস করে আসছেন। নদী তীরবর্তী ফসলের জমি ও অসংখ্য গাছপালা চলে গেছে নদী গর্ভে।
তাছাড়া নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে আরো অসংখ্য বাড়িঘর ও স্থাপনা বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু বাড়িঘড় নয় এ ইউপির কালাবাজার , কাদিপুর বাজার, নয়া বাজার সহ বেশ কয়েকটি বাজারের দোকান কুশিয়ারা নদীতে ধসে পড়েছে। নদী ভাঙ্গনে প্রায় বিলীন হওয়ার পথে এসব বাজার। এতে এসব এলাকার লোকজন ও ব্যবসায়ীরা আতংকে দিন কাটাচ্ছেন। এসব এলাকার বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গের সাথে কথা বলার পর অনেকে অভিমত প্রকাশ করেন যে, পানিয়াগা, পনাইরচক, খাটখাই, মেহেরপুর সহ বিভিন্ন এলাকার নদীর তীরবর্তী রাস্তাাটিই নদী গর্ভে চলে যাওয়াতে বেপাকে পড়েছেন এলাকার লোকজন। এ অঞ্চলের বিখ্যাত শরিফগঞ্জ বাজার অনেক আগেই নদীর ভাঙ্গনের কবলে পরে বিলীন হয়ে গেছে এখন অস্থিত্ব হারাতে বসেছে কালার বাজার নামের আরেকটি বাজার। অতিসত্বর নদী ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না হলে ঐতিহ্যবাহী ইউনিয়নটির অস্থিত্ব রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।