বিজয় বার্তা ২৪.কম
সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি কিছুটা কমলেও এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যায় প্লাবিত হয়েছে জেলার ৫টি উপজেলার ৩৮টি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা। ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় পানিবন্দি প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। পানিতে তলিয়ে গেছে ধান,পাট,আখসহ বিভিন্ন ফসল। পাশাপাশি পানিতে ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। এতে দিশেহারা কৃষক ও মৎস্যচাষিরা।
গত কয়েকদিন ধরে যমুনা নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে সিরাজগঞ্জে। বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে জমির ফসল, রাস্তাঘাট, পুকুরসহ বিস্তীর্ণ এলাকা। জেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, জেলার সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা প্রায় ৮৩ হাজার। স্বপ্নের ফসল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দিশেহারা কৃষকেরা।
তবে কৃষকদের ক্ষতি নিরূপণ করে তাদের পুনর্বাসনের জন্য কৃষি বিভাগ কাজ করছে বলে জানালেন সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আরশেদ আলী।
পাশাপাশি বন্যার পানিতে ভেসে গেছে জেলার বিভিন্ন পুকুর ও খালের মাছ ও পোণা। জেলা মৎস্য অফিসের তথ্য মতে, জেলায় মোট ১শ ৬০টি পুকুর ও খালের প্রায় ৩৫ মেট্রিক টন বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। এতে আর্থিকভাবে বিপাকে পড়েছেন মৎস্যচাষিরা।
সিরাজগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মনিরুল ইসলাম জানালেন, ক্ষতিগ্রস্ত মাছ চাষিদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। বন্যার পানি নেমে গেলে তাদেরকে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে।
জেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, চলতি বন্যায় এখন পর্যন্ত কৃষিক্ষেত্রে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় এক’শ কোটি টাকা। আর মৎস্য বিভাগ জানায়, মৎস্য খাতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৭০ লাখ টাকা।