স্টাফ রিপোর্টার,বিজয় বার্তা ২৪
শেষ সময়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল সিম পুনঃনিবন্ধন করতে ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকরা। পুনঃনিবন্ধন শেষ করতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা আর সার্ভার ভোগান্তির কথা বলেছেন অনেকেই।
শুক্রবার ছুটির দিনে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সিম নিবন্ধন কেন্দ্রগুলোতে ছিল গ্রাহকের উপচে পড়া ভীড়। সিম নিবন্ধন করতে আসা একজন বলেন, সকালে গ্রামীণফোনের সিম পুনঃনিবন্ধন করতে গেলে প্রথমে তাকে বলা হয় সার্ভার ‘ডাউন’। দীর্ঘসময় অপেক্ষার পর তার সিমের পুনঃনিবন্ধন হয়।
কেবল ঢাকা নয়, দেশের অন্যান্য স্থানেও কাস্টমার কেয়ার সেন্টার ও রিটেইলার পয়েন্টে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়ার কথা জানিয়েছেন গ্রাহকরা।
মোবাইল অপারেটররা বলছেন, শেষ সময়ে এসে পুনঃনিবন্ধনের অতিরিক্ত চাপে এ সমস্যা তৈরি হয়েছে।
একটি অপারেটরের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, পুনঃনিবন্ধনের অতিরিক্ত চাপে সার্ভারে সমস্যা হচ্ছে। তবে নিবন্ধন প্রক্রিয়া কখনো বন্ধ করা হয়নি।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম শুক্রবার সাংবাদিকদের জানান, দেশের ১৩ কোটি মোবাইল সিমের মধ্যে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ৮ কোটি ৩৮ লাখ সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন হয়েছে।
সার্ভার জটিলতার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এনআইডি’র একটি এবং সব অপারেটরের নিজস্ব একটি করে সার্ভার রয়েছে। অপারেটর সার্ভার থেকে তথ্য পাঠানোর পর এনআইডি সার্ভার থেকে ভেরিফিকেশন হয়।
এনআইডি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের সার্ভার ডাউন হয়নি।
মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) মহাসচিব টি আই এম নুরুল কবির বলেন, নিবন্ধনের অতিরিক্ত চাপে এ সমস্যা হতে পারে। অপারেটর ও এনআইডি কর্তৃপক্ষের কারিগরি দল এ সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছে।
গত ১৬ ডিসেম্বর সিম নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু হওয়ায় আঙুলের ছাপ না দিয়ে এখন আর নতুন সিম কেনা যাচ্ছে না। পাশাপাশি বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুরনো সিমের পুনঃনিবন্ধন চলছে, যা আগামী শনিবার শেষ হচ্ছে।
এ পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন বা পুনঃনিবন্ধন প্রক্রিয়ায় আঙুলের ছাপ না মেলায় সিম পুনঃনিবন্ধন করতে পারেননি এক কোটির বেশি গ্রাহক।
মোবাইল অপারেটরগুলোর সব কাস্টমার কেয়ার সেন্টার ও রিটেইলার পয়েন্টে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম-রিম নিবন্ধন কার্যক্রম ৩০ এপ্রিল রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে বলে ইতোমধ্যে জানিয়েছেন তারানা হালিম।
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুনঃনিবন্ধনের জন্য বেঁধে দেওয়া সময় ৩০ এপ্রিলের পর কয়েক ঘণ্টা সিম বন্ধের সিদ্ধান্তে অটল থাকার কথা জানিয়ে বৃহস্পতিবার প্রতিমন্ত্রী বলেন, এরপরে এই নিবন্ধন কীভাবে হবে, সময় আর বাড়বে কি না- সে বিষয়ে শনিবার জানানো হবে।