নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ ও সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে ৫ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২২ মার্চ) সকালে জেলা পুলিশ সুপারের সভা কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানানো হয়।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিবুল হক (প্রশাসন), মো: মোখলেসুর রহমান (অপরাধ), মো: জাকারিয়া (ডিএসবি), ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: কামাল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: শরাফত উল্লাহসহ আরো অনেকেই।
সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো: মোখলেসুর রহমান জানান, গত সোমবার (২১) মার্চ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি রূপগঞ্জ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাংলোকেড এলাকায় রাত আড়াইটায় ৮-১০ জনের একটি ডাকাত দল অবস্থান করেছে। সেখানেই তারা গাড়িতে ডাকাতি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানা গেছে। পরে ফতুল্লা মডেল থানার সিনিয়র এএসপি মো: শরফুদ্দিনের নেতৃত্বে রূপগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের খবর পেয়ে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে পুলিশ রুবেল (১৮) নামের একজনকে গ্রেফতার করে এবং তার কাছে থেকে একটি ছোরাও উদ্ধার করে। গ্রেফতারকৃত রুবেল আড়াইহাজার উপজেলার দাসিরদিয়া এলাকার আফজাল উদ্দিনের ছেলে।
তিনি আরো বলেন, একই দিনে পুলিশ জানতে পারে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জ কাঁচপুর ব্রিজের উপরে রাত ৩টায় ১০-১৫জনের একটি ডাকাত দল অবস্থান করেছে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) মো: শরফুদ্দিনের নেতৃত্বে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় ব্রিজের উপরে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে পুলিশ ৪ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাকি সদস্যরা পালিয়ে যায়। এসময় ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস (ঢাকা-মেট্রো-চ-১৩-১৬৫৪) উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, চাঁদপুর জেলার কচুয়া শাসন খোলা এলাকার ইদ্রিস আলীর ছেলে মনির (৩৫), কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি হরিপুর এলাকার কেরামত আলীর ছেলে মো: আলম (৩৪), রূপগঞ্জ আঁটিপাড়া এলাকার সেন্টু মিয়ার ছেলে মো: সবুজ (৩০) এবং কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার জাফরগঞ্জ এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে জাহাঙ্গির আলম ওরফে বদি আলম মুন্সি (৪৫)।
এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মোখলেসুর রহমান বলেন, গ্রেফতারকৃতরা আন্ত:জেলা বা রুট ডাকাত কিনা তা সম্পূর্ণভাবে জানা যায়নি। তবে তাদের রিমান্ডে নেয়ার পরে বিভিন্ন তথ্য বের করে অন্যান্য ডাকাত সদস্যদের গ্রেফতার করার যাবে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া এখনো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।