নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়ার ১১ ক্যাডার বাহিনীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হলেও ১ জন ছাড়া আর কাউকে ১৭ দিনে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। প্রকাশ্যে প্রতিদিন মিজমিজি, মৌচাক, সাহেবপাড়া, ক্যানেলপার, হাজেরা মার্কেট এলাকায় মোটরসাইকেলে মহড়া দিচ্ছে হাজি ইয়াছিন মিয়ার সেই ক্যাডাররা। অথচ পুলিশ বলছে মামলার হওয়ার পর থেকে তারা এলাকায় নাই। পুলিশের এ দৈ¦ত ভুমিকায় তাদের কর্মকান্ড নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠছে এলাকাবাসীর নিকট। অন্যদিকে শংকায় দিনাতিপাত করছে নিরিহ সাধারন এলাকাবাসী। মামলার হওয়ার পরও ইয়াছিন মিয়ার ক্যাডার বাহিনীর মহড়া ও অব্যাহত অপরাধ কর্মকান্ডের কারনে এলাকাবাসী মধ্যে আতংঙ্ক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতেও সাহস পাচ্ছেনা। তাই ইয়াছিন মিয়ার ক্যাডার বাহিনী হাত থেকে জানমাল রক্ষার জন্য জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের হস্থ্যক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী ।
জানা গেছে, গত ১১ এপ্রিল সিদ্ধিরগঞ্জের সাহেব পাড়া পার্কস্কুল এন্ড কলেজের উত্তরপাশে ঢাকার এক ব্যবসায়ী হুমায়ন কবির একটি নতুন ভবন নির্মান কালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সাম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়ার ক্যাডার প্রধান সেনাপতি সাত খুনের মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়া আনোয়ার হোসেন আশিকের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা দেশীও অস্ত্র নিয়ে নির্মানাধিন বাড়ির মালিকের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে এ ওয়ার্ডে কোন ভবন নির্মান হবেনা বলে ঘোষনা দেন সস্ত্রাসীরা। এদিকে ব্যবসায়ী হুমায়ন কবির কোন চাঁদা দিবেনা বলে জানায়। এ সময় সন্ত্রাসী রোকন, শাহজাহান, মনির, স্বরন, লিটন, রাসেল, হেকিম, নিজান, ইয়াছিন মিয়ার ভাতিজা রাব্বি, আসলাম নির্মানাধীন ভবনের মালিক হুমায়ন কবির ও তার লেবার মনির ও আব্দুল রাজ্জাককে মারধর করে। এ সময় ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনার পর ব্যবসায়ী হুমায়ন কবির নারায়ণগঞ্জ চার আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমানকে সরাসরি বিষয়টি জানায়। পরে শামীম ওসমান এমপি থানার ওসিকে নিদের্শ দিলে পুলিশ ব্যবসায়ী হমিায়ন কবিরের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়ার ব্যক্তিগত অফিস থেকে তার ক্যাডার বাহিনীর অন্যতম সদস্য রোকনকে গ্রেফতার করে। এসময় অন্যান্য ক্যাডাররা পালিয়ে যায়। পরে এ ঘটনায় ব্যবসায়ী হমায়ন কবির বাদি হয়ে ইয়াছিন বাহিনীর ১১ ক্যাডারের বিরুদ্ধে মামলা করেন। যার নং ২৩/০৪/১৬ইং। কিন্তু কোন অদৃশ্য শক্তির কারনে পুলিশ এ চাঁদাবাজির মামলার অন্য কোন আসামীকে গ্রেফতার না করায় পুলিশের নিরব ভুমিকার রহস্য নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, মামলা হওয়ার পর সন্ত্রাসীরা প্রকাশে ঘুড়ে বেড়ায়। মটর সাইকেল মহড়া দেয়। এলাকায় আতংঙ্ক বিস্তার করছে। প্রকাশে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিদ্যুত, পানির মটর, জমি বিক্রয়, নতুন ভবন নির্মান সামগ্রী, বাবুল, ইট, সিমেন্ট, রডসহ সকল কাজ ইয়াছিন মিয়ার ক্যাডার বাহিনীকে দিতে হবে বলে হুমকি দিচ্ছে। কাজ না দিলে চাঁদা দিতে হবে বলে ২নং ওয়ার্ডে বাসিন্দাদের হুমকি দিয়। এ ঘটনায় এলাকাবাসী মধ্যে অতংঙ্ক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এদিকে এলাকাবাসী জানায়, হাজি ইয়াছিন মিয়া সাত খুনে ঘটনায় পর এলাকায় ফিরে টাকার নেশায় অপরাধ কর্মকান্ডের সব সেক্টর তার দখলে নিতে মরিয়া হয়ে পড়ে। একে একে দখল করে নেয় মৌচাক, শিমরাইল মোড়, সানারপাড় ও আদমজী ইপিজেড এলাকার কয়েকটি গামের্ন্ট কারখানা, পরিবহন সেক্টর ও ভূমি। এ কাজে আধিপত্য বিরাজ রাখতে ইয়াছিন মিয়া ফিরিয়ে আনেন সাত খুনের প্রধান আসমী নুর হোসেনের পালিত কয়েক সন্ত্রাসীকে। তার নিজ বাহিনিতে যোগ দেওয়ান সাতখুন মামলা থেকে অব্যহতিপ্রাপ্ত সিদ্ধিরগঞ্জ থানা শ্রমিকদলের সাধারন সম্পাদক বিএনপি নেতা হাবিব হত্যা মামলার ২ নং আসামী আনোয়ার হোসেন আশিককে। এরপর হাজী ইয়াছিন মিয়া আশিককের হাতে সকল সন্ত্রাসী ও অপরাধ কর্মকান্ডের সেক্টর দেখার ভার দিয়ে অলিখিত সেনাপতির দায়িত্ব দেন। তারা অবিলম্বে হাজী ইয়াছিন মিয়ার ১০ ক্যাডারকে গ্রেফতার ও বিচার সহ ২নং ওয়ার্ড বাসির জান মাল রক্ষার জন্য জেলা পুলিশ সুপার ও র্যাব ১১’র হস্তক্ষেপ কামনা করছে।