বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি নকল প্রসাধনী ও নকল ইলেকট্রনিক পণ্য তৈরির কারখানা থেকে প্রায় একশ কোটি টাকার নকল পন্য উদ্ধার করেছে জেলা পুলিশ।
বুধবার রাত ১১টায় সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় মুনস্টার মার্কেটিং প্রাইভেট লিমিটেড ও ম্যাক্স ইলেকট্রো ইন্ডাস্ট্রিজ নামে দুই প্রতিষ্ঠানে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।। এসময় এই প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ৮ জন আটক করা হলেও প্রতিষ্ঠান দুটির মালিক বেলায়েত হোসেনকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তিনি পলাতক রয়েছেন।
আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন- সিরাজুম ইসরাম (১৮), সোহাগ (২৪), অহিদুল ইসলাম (৩৫), আমিনুল ইসলাম (৩২), রাজীব (১৮), মাইনুল ইসলাম (৩২), মেহেদী হাসান (১৮) ও একাউন্ট অফিসার সাইফুল ইসলাম (৩৫)।
ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে আসা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ এ বিষয়ে জানান, ‘মুনস্টার মার্কেটিং প্রাইভেট লিমিটেড ও ম্যাক্স ইলেকট্রো ইন্ডাস্ট্রিজ নামে দুই প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে নকল পণ্য তৈরি করে আসছিল। ধানমন্ডির বাসিন্দা বেলায়েত হোসেন নামে এক ব্যক্তি সিদ্ধিরগঞ্জের একটি জায়গায় নকল প্রসাধনী তৈরি করেন এবং বাজারজাত করেন৷ আমরা খবর পাওয়ার পর রাত ১১টায় অভিযান চালাই৷ জাপান, ইন্ডিয়া, চায়না, লন্ডন, আমেরিকা, ফ্রান্সহসহ বিভিন্ন দেশের নামে ময়লা পানি, রং ও সেন্ট দিয়ে এসব বানাচ্ছিল তারা৷ কুবরা, ফগ, রয়েল, এয়ার ফ্রেশনারের মতো বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নামে এসব তারা বাজারজাত করতো৷’ তিনি আরও বলেন, ‘পরে আরেকটি গোডাউনে গিয়ে দেখি ৬৫ ইঞ্চি, ৭০ ইঞ্চির টিভি বানাচ্ছেন তারা৷ সনি, স্যামসাং, এলজি, প্যানাসনিকসহ বিভিন্ন ব্রান্ডের টিভি ও মাইক্রো-ওভেন তৈরি করছেন৷ বিভিন্ন ব্রান্ডের নাম থাকলেও এগুলো সব ভুয়া৷ আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ এদের দ্বারা প্রতারিত হচ্ছে৷ এ সকল প্রতারক চক্র বিশাল বড় গোডাউনে এসব তৈরি করছে এবং সরকারের বিশাল অঙ্কের ট্যাক্স ফাঁকি দিচ্ছে৷’ এসপি বলেন, ‘তারা ৫০-৬০ কোটি টাকার প্রায় লক্ষ লক্ষ টিভি তারা বানিয়েছে৷ আমরা অভিযান না চালালে এগুলা তারা বাজারজাত করতো৷ তাদের সেন্ট ও প্রসাধনীগুলো খুবই বাজে৷ মানুষ এসব ব্যবহার করলে তাদের চামড়া নষ্ট হয়ে যাবে৷ ক্যান্সার রোগ হবারও সম্ভবনা রয়েছে৷’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মানুষকে যে প্রতারিত করছে সে আইনে আমরা মামলা নেবো৷ মূল হোতাকেও আইনের আওতায় আনা হবে৷ জব্দ করা পণ্য সামগ্রীর মূল্য আনুমানিক ১০০ কোটি টাকা বলেও জানান পুলিশ সুপার।