নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীর আইলপাড়ায় সাতঘোড়া সিমেন্ট ফ্যাক্টরীর বিল্লাল হোসেন (২৮ ) নামে এক ক্রেন বেল্ট অপারেটর রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার সকাল ১১ টায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ওই সিমেন্ট ফ্যাক্টরীরর পিছনের জেটি সংলগ্ন শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ওই শ্রমিকের ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে। লাশের মাথার পিছনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিরাপত্তারক্ষীসহ ৮ শ্রমিককে আটক করেছে থানা পুলিশ।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সার্বিক) সরাফত উল্লাহ জানান, কেউ হয়তো বিল্ল¬ালকে হত্যা করে লাশ ফ্যাক্টরীর পিছনে নদীতে ফেলে রেখেছে। তবে তদন্তে প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে। বিল্লাল খুনের প্রতিবাদে এলাকাবাসীসহ নিহতের স্বজনরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সিমেন্ট ফ্যাক্টরীতে হামলা ও ভাংচুর চালায়। এ সময় ফ্যাক্টরীর কয়েকটি ভবনের জানালার কয়েকটি গ্লাস ভাংচুর করে। পুলিশী হস্তক্ষেপে বড় ধরনের কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এদিকে বিল্ল¬াল হত্যাকান্ডের ঘটনায় পুলিশ ওই ফ্যাক্টরীরর নিরাপত্তারক্ষীসহ ৮ শ্রমিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ প্রশাসনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোখলেছুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার এ সার্কেল ফোরকান শিকদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। লাশ দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
সিমেন্ট ফ্যক্টরীর ইনচার্জ (ডিজিএম প্লান্ট) সেলিম রেজা জানায়, ক্রেন বেল্ট অপারেটর বিল্লাল হোসেন গত শনিবার বেলা ২ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত ডিউটি করছিল। সে যথারীতি ডিউটিতে এলেও সন্ধ্যার পর থেকেই কর্মস্থলে উপস্থিত ছিল বলে পরে জেনেছেন। কিভাবে বিল্লাল খুন হয়েছেন তা তিনি বলতে পারেননা বলে জানায়।
নিহত বিল্লাল হোসেনের পিতা আবুল হোসেন বলেন, আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। এছাড়াও ফ্যাক্টরী কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, গত শুক্রবার ক্রেন বেল্ট চালনাকে কেন্দ্র করে এই ফ্যাক্টরীরর সুজন নামে এক শ্রমিককে বিল্লাল মারধর করেছে। এ ঘটনায় সুজন জড়িত কিনা তাও পুলিশ খতিয়ে দেখছে। নিহত বিল্লাল হোসেন ওই ফ্যাক্টরীতে ৩ বছর ধরে কাজ করছে বলে ফ্যাক্টরীর ইনচার্জ সেলিম রেজা জানায়। বিল্লাল হোসেন আদমজী সুমিলপাড়া আইলপাড়া এলাকার আবুল হোসেনর ছেলে। এ ঘটনায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি বলে জানাগেছে।