নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
মহান মে দিবসে নারায়ণগঞ্জ মহানগর শ্রমিক আন্দোলনের উদ্যোগে এক বিশাল শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। রোববার সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল ট্রাক ষ্ট্যান্ডে আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর শ্রমিক আন্দোলন এর সভাপতি মোঃ মোতাহার হোসেন সরকার। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমির ও চরমোনাই পীর আলহাজ্ব মুফত সৈয়দ মোঃ রেজাউল করিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অনৈসলামিক কার্যকলাপ প্রতিরোধ কেন্দ্রীয় কমিটির আমির ও ইসলামী আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সী। । প্রধান অতিথি চরমোনাইপীর মোঃ রেজাউল বলেছেন,ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়ন না করায় শ্রমিকরা আজ অবহেলিত,গণমূখী রাষ্ট্র ছাড়া শ্রমিক-কৃষক মেহনতী মানুষের অধিকার নিশ্চিত করা যাবে না। বিদ্যমান নিপীড়ক রাষ্ট্র ব্যবস্থার পরিবর্তনের জন্য গণআন্দোলন রচনা করতে হবে। গণআন্দোলনের মাধ্যমেই শোষণ-নিপীড়ন-নির্যাতনের রাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থার অবসান ঘটিয়ে জনগণের তথা ইসলামী শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে হবে। তিনি আরও বলেছেন , শ্রমিকরা শ্রম আইন অনুযায়ী ন্যায্য পাওনা পচ্ছেনা।শ্রমিকদের অধিকার হরণ করা হয়েছে। শ্রমিকদের মাধ্যেমেই উত্থান পতন হচ্ছে, তাই তাদেরকে কোনভাবেই অবজ্ঞা করা চলবেনা। ইসলামকে ধ্বংসের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। শিক্ষানীতির নামে কিভাবে মুসলামানদের বলি দেবে তা শেখানো হচ্ছে, শিক্ষার্থীদেরকে ইহুদীদের কবিতা, গল্প পড়ানো হচ্ছে, মুসলমানদের মুসলমানীত্ব নিয়ে থাকা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।শিক্ষাক্ষেত্রে স্কুল- কলেজে ইসলামী ধ্যান ধারণা বলতে কিছুই নেই।দেশে আজ আইনের শামন বলতে কিছুই নেই, আছে কেবল সন্ত্রাস, জুলুম নির্যাতন,খুন-খারাবি, লুটপাট। চরমোনাইপীর রেজাউল করিম আরও বলেছেন, শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ইসলামী শ্রমনীতি দ্রুত বাস্তবায়ন করার দাবি জানান সরকারের কাছে।সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলস্থ ট্রাক ষ্ট্যান্ড আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে উপরোক্ত কথা বলেছেন চরমোনাইপীর । সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন শ্রমিক ইসলামী আন্দোলন নেতা আহমেদ কাইয়ুম,আলহাজ্ব মোঃ শামসুল ইসলাম বাদল, মোঃ বিল¬াল হোসেন, মোঃ নেকমত আলী দেওয়ান, হাফেজ রুহুল আমিন, মোঃ কবির হোসেন, আইয়ুব আলী মুন্সীসহ ইসলামী আন্দোলন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্ত্য রাখেন। বক্তরা বলেছেন, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় শ্রমজীবি-কর্মজীবি-পেশাজীবি জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমেই গণমূখী রাষ্ট্রের প্রবর্তন করতে হবে। যে সমাজে উৎপাদন ব্যবস্থাপনায় শ্রমিকদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা হয় না, সে সমাজ প্রগতিশীল হতে পারে না। বিদ্যমান শাসন ব্যবস্থায় রাষ্ট্র আর চলতে পারে না। এই অবস্থা চলতে থাকলে নৈরাজ্য, ও সন্ত্রাসবাদে রাষ্ট্র চূড়ান্ত ঝুঁকিতে পড়বে-যা আমাদের স্বাধীনতাকেই বিপর্যস্থ করে তুলবে।ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়নের ও ইসলামী রাজনীতির শাসন কাঠামো দিয়ে বিদ্যমান সংকটের মোকাবেলা করা সম্ভব।