বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
সিদ্ধিরগঞ্জে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা এক মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে পুলিশের সামনে নির্যাতন ও ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভাড়া বাসায় পরিবারটি এখন নিরাপত্তাহীনতায় বসবাস করছে।
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার জালকুড়ি এলাকায় বসবাসকারী মুক্তিযোদ্ধা মৃত আব্দুল মালেকের সন্তানরা শনিবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন। মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেকের ছেলে আওলাদ হোসেন, ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির প্রকৌশল বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্রী আছিয়া আক্তার ও তাদের মা ফাতেমা খাতুন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
এসময় লিখিত বক্তব্যে আওলাদ হোসেন বলেন, আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক একই এলাকার আইয়ুব আলীর কাছ থেকে ৩৪২২ নম্বর দলিলমূলে ৬ শতাংশ জমি ১৯৮৪ সালের ১৬ মে ক্রয় করেন। পরবর্তীতে তার নামে জমির নামজারি করেন এবং দীর্ঘ ২৮ বছর ভোগদখলের পর তিনি মারা যান। তার বিধবা স্ত্রী, ৩ মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে। ক্রয়কৃত স্থানে বালু ভরাট ও বাউন্ডারি দিতে গেলে আইয়ুব আলী, আব্দুর রহমান, রোকশত আলীর সহযোগিরা ‘জমির ধারে কাছে এলে পরিবারের সবাইকে হত্যা করে ইট বেঁধে শীতলক্ষ্যায় ফেলে দেওয়ার’ হুমকি দেয়।
তিনি আরও জানান-সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় জিডি করার পর এএসআই হাবিবুর রহমান ঘটনাস্থলে তদন্ত করতে গেলে পুলিশের সামনেই আইয়ুব আলী ও তার সহযোগীরা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেকের পরিবারের সদস্যদের মারধর করে। এ ব্যাপারে পুলিশের ভূমিকা ছিল রহস্যজনক। মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেকের পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতার পাশাপাশি চাঞ্চল্যকর ৭ খুনের মতো ঘটনার আশঙ্কা করছেন। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা।
এ ব্যাপারে এএসআই হাবিবুর রহমান জানান, গত ৬মাস আগে আমি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা থেকে বদলি হয়ে যাই। ঘটনাটি ছিল ২০১৪ সালের। এ ঘটনায় আমি প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেই। এছাড়াও এ ঘটনায় নিয়মিত মামলা হয়। আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। পুরিশের ভুমিকা রহস্যজনক এটা সঠিক নয়।