নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
জেলার সিদ্ধিরগঞ্জে মা হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশন কালে ডাক্তারের ভূলের কারনে অতিরিক্ত রক্তক্ষরনে আন্না বেগম (২৩) নামে এক প্রসুতির মৃত্যুর ঘটনায় থানায় মামলা রুজু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে নিহত প্রসুতীর স্বামী সুমন হাসপাতালের ম্যানেজার হযরত, ডাক্তার নিলুফা সহ আরো ২ নার্স শিউলি ও রুনার নাম উল্লেখ করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এর আগেই সোমবার রাতে পুলিশ হযরতকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। নিহত প্রসুতি আন্না সিদ্ধিরগঞ্জের সিআইখোলা বালুর মাঠ এলাকার সুমনের স্ত্রী।
সুমন জানায়, নিহত আন্না মা হসপিটাল এন্ড ল্যাব এর প্রাইভেট ডাক্তার নিলুফার আক্তারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধিন ছিল। গত রোববার রাতে আন্নাকে সন্তান প্রসব করার জন্য মা হাসপাতালে ভর্তি করে। সোমবার বেলা ১১ টায় ডাক্তার নিলুফা কর্মরত অদক্ষ নার্স শিউলি ও রুনার সহায়তায় আন্নাকে সিজার করা হয়। এ সময় তারা সন্তানের নাড় কাটার সময় প্রসুতির রক্ত চলাচলের রগ কেটে ফেলে। এ ঘটনায় আন্নার রক্ত ক্ষরন হলে তারা ৫ব্যাগ রক্ত দেয়। এক ডাক্তার রক্ত ক্ষরণ বন্ধ করতে না পেরে মূমূর্ষ অবস্থায় বিকেল ৫ টায় রোগীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে আইসিইউ খালি না থাকা ও রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় প্রাইভেট ক্লিনিকে আইসিইউতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। পরে স্বজনরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ধানমন্ডি প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়ার পথে রোগী মারা যায়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এর আগেও মা হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় একাধিক রোগী মারা গেছে। অদক্ষ হাতুড়ে ডাক্তার দিয়ে পরিচালিত এ হাসপাতালটি চিকিৎসার নামে রোগীদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে।
এদিকে জেলা সিভিল সার্জন বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রহস্য জনক কারণে হাসপাতালটির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করছে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
প্রসঙ্গত, প্রসুতি আন্নার মৃত্যুর সংবাদে সোমবার রাতে স্বজনরা হাসপাতালে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে। খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই মোজাম্মেল ও ফারুক ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্বজনদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। পরে হাসপাতালের ব্যবস্থাপক হযরতকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।