নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের ৩টি এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে ২য় দফায় ভ্রাম্যমান আদালত নিয়ে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন ও তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন নারায়ণগঞ্জ জোনাল বিপনন অফিস কর্তৃপক্ষ । এসময় ২টি বাণিজ্যিক কয়েল ফ্যাক্টরীসহ ১৩টি আবাসিক অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং ১লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) বেলা ১২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত জেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো:মাসুম আলী বেগ এর আদালত ও তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন নারায়ণগঞ্জ জোনাল বিপনন অফিসের কর্মকর্তারা সিদ্ধিরগঞ্জের আটিগ্রাম,হাউজিং ছাপাখানা ও উত্তর মিজমিজি আব্দুল মতিন সড়ক এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে এই অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন এং জরিমানা আদায় করেন। এসময় অভিযানে বিচ্ছিন্ন পাইপ ও আনুষাঙ্গিক মালামাল জব্দ করে নিয়ে যায় তিতাস কর্তৃপক্ষ।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন নারায়ণগঞ্জ জোনাল বিপনন অফিসের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী জাফরুল আলম,উপ-ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো:আব্দুল কবির,সহকারী প্রকৌশলী হাসান শাহরিয়ার,মো:আব্দুল আজিজ ও তিতাস কর্তৃপক্ষের কর্মচারী সেকান্দার আলী,ইমতিয়াজ,বাতেন ও মান্নান। ভ্রাম্যমান আদালতের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন,সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই নজরুল ইসলাম এবং জেলা রিজার্ব পুলিশ ফোর্স সদস্যরা।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন নারায়ণগঞ্জ জোনাল বিপনন অফিসের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী জাফরুল আলম জানায়, আমরা ভ্রাম্যমান আদালতের সহায়তায় সিদ্ধিরগঞ্জের ৩টি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২টি কয়েল ফ্যাক্টরীসহ ১৩টি আবাসিক অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং ডিকে মার্কেটিং এন্ড ট্রেডিং নামক একটি কয়েল ফ্যাক্টরীকে ১লাখ টাকা জরিমানা করেছি। এদের মধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জের আটি এলাকায় ১৩টি আবাসিক সংযোগ, হাউজিং ছাপা খানা এলাকার বাদশা মিয়ার বাড়ীর ভাড়াটি শাহীনের মালিকানাধীন কিং কোবরা কয়েল ফ্যাক্টরী,মিজমিজি উত্তরপাড়া আ:মতিন সড়কে কামাল খানের মালিকানাধীন ডিকে মার্কেটিং এন্ড ট্রেডিং নামক কয়েল ফ্যাক্টরী। ২টি ফ্যাক্টরীর মধ্যে ডিকে মার্কেটিং এন্ড ট্রেডিং নামক কয়েল ফ্যাক্টরীকে ১লাখ টাকা জরিমানা করা হলেও কিং কোবরা কয়েল ফ্যাক্টরীটি তালাবদ্ধ এবং লোকজন থাকায় তাৎক্ষনিক কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা সম্ভব না হলেও তাদের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় আইনী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়াও তিনি জানায়, প্রতি ঘন্টা একটি কয়েল ফ্যাক্টরী ৪৭৫ ঘনফুট গ্যাস পুড়ছে। তারা সারাদিন যে গ্যাস খরচ করছে এতে ২২টি পরিবার অনায়াসে একদিনের চাহিদা পুরন হবে।