বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
সিদ্ধিরগঞ্জে কলেজ ছাত্রীকে ইভটিজিং করায় এক বখাটের খোঁজ করতে যাওয়ায় পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় এস আই সুমনা পারভনি ও কনেষ্টবল জুলকারনাইন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ছাত্রলীগে ৭ নেতাকে আটক করেছে। আটককরা হলো- নাসিক ৩নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি কিবরিয়া সাকিফ (২৫), সাধারন সম্পাদক আল-মামুন (২৩), মনোয়ার আহমেদ তামিম (২৪), হাবীবুর রহমান হাবীব (২৫), জাহাঙ্গীর আলম সাকিব (২৪), সাইফুল ইসলাম রাহুল (১৯), বাবু (২০)। ঘটনাটি ঘটেছে নাসিক ৩নং ওয়ার্ড নিমাইকাশারী এলাকায়। এ ঘটনায় খবর পেয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ছাড়িয়ে নিতে শতাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা দুপুর ১ টার দিকে থানার ঘেড়াও করে বিক্ষোপ দেখায়। পরে পুলিশ তাদের শান্ত করে। এদিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মজিবুর রহমান ও শিমরাইল মোড়ে আন্তজেলা পরিবহন কাউন্টার সমিতির সভাপতি আব্দুল আজিজ ছাত্রলীগ নেতাদের ছাড়িয়ে আনতে থানায় অবস্থান নেন। পরে জেলা অভিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোঃ মতিয়ার রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার লিয়ন, সহকারী পুলিশ সুপার আল মাসুদ থানায় এসে বিষটি নিয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবসা নেওয়ার আস্থাশ দেন।
সানারপাড় রওশন আরা ডিগ্রি কলেজের এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করায় ওই ছাত্রীর মা রাজিয়া সুলতানা নোমান (২৮) নামে এক বখাটের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক (এস আই) সুমনা পারভীন এক কনস্টবল নিয়ে ঘটনার তদন্তে সোমবার দুপুরে পুর্ব নিমাইকাশারী এলাকায় যায়। এসময় রোমানের ভাই আল মামুনসহ বেশ কয়েকজন পুলিশকে বাধাঁ দেয়। এক পর্যায়ে তারা পুলিশের উপর হামলা চালায়। হামলায় এস আই সুমনা পারভীন ও কনস্টেবল জুলকার নাহিন আহত হয়। পরে পুলিশের অন্য একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে এ ঘটনায় খবর পেয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ছাড়িয়ে নিতে শতাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা দুপুর ১টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত থানার ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে। পরে থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মজিবুর রহমান ও শিমরাইল মোড়ে আন্ত:জেলা পরিবহন কাউন্টার সমিতির সভাপতি আব্দুল আজিজ ছাত্রলীগ নেতাদের ছাড়িয়ে আনতে থানায় অবস্থান নেন।
এ ঘটনায় সোমবার বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এক সংক্ষিপ্ত প্রেসব্রিফিংএ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো: মতিয়ার রহমান জানান, গত রমজানে সিদ্ধিরগঞ্জের রওশন আরা কলেজের এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করার অভিযোগে ৩নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মামুনের ভাই নোমানের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দেয় ইভটিজিংয়ের শিকার ওই ছাত্রীর মা। ঘটনা তদন্তে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপ-পরিদর্শক সুমনা পারভিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে নিমাইকাশারী এলাকায় নোমানের বাড়িতে যায়। ওই সময় নোমান বাড়িতে না থাকায় তার ভাই ছাত্রলীগের ৩নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক মামুন এস.আই সুমনাকে কর্তব্য কাজে বাধা প্রদান করে এবং লাঞ্ছিত করে। পুলিশের কাজে বাধা প্রদান করার অপরাধে ওই ৭ ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করা হবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত( ৮ টা ) ছাত্রলীগ নেতারা থানা হাজতে রয়েছে।