নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
সিদ্ধিরগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে আব্দুস সালাম (৪৮) নামে এক ট্রাক চালককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে ফাতেমা (৩২) নামে এক স্বামী পরিত্যক্তা নারীর বিরুদ্ধে। মুক্তিনগর এলাকার আবু তাহের পাটোয়ারীর বাড়িতে বুধবার ভোররাতে ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই ফারুক আহত সালামকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। আহত সালাম ও ফাতেমা এর আগে একই বাড়িতে ভাড়া থাকতো। পরে পুলিশ ফাতেমাকে আটক করে। আটক ফাতেমা ভোলা জেলার চর ফ্যাশন এলাকায় ও সালাম টাঙ্গাইল জেলার নগনপুর থানার সূবর্নতলী গ্রামের বাসিন্দা। ফাতেমা সিদ্ধিরগঞ্জের মুক্তি নগর ও সালাম মাদানীনগর এলাকায় ভাড়া থাকে। এ ঘটনায় সালামের অবস্থা আশংকাজনক বলে তার পরিবারের সূত্রে জানা যায়। অন্যদিকে ফাতেমা বিভিন্ন ধরনের প্রতারনার সাথে জড়িত বলে এলাকাবাসী জানায়। তবে ফাতেমার দাবি সালাম তাকে ধর্ষনের চেষ্টা করলে সে তাকে কুপিয়ে আতœরক্ষা করে।
জানা যায়, ফাতেমা ও সালাম মাদানীনগরের প্রবাসী ফখরুলের বাড়িতে ভাড়া থাকতো। ওই ভাড়া দিতে না পাড়ায় গত ১’মাস আগে বাড়ীওয়ালা ফাতেমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে সে পার্শ¦বর্তী মুক্তিনগর এলাকার আবু তাহের পাটোয়ারীর বাড়ীতে বাসা ভাড়া নেয়। ওই বাড়ি থাকাকালীন থেকে সালামের সাথে ফাতেমার বিরোধ সৃষ্টি হয়। ফাতেমার অভিযোগ ছিল ছালাম বাড়ীওয়ালাকে কূ-পরামর্শ দিয়ে তাকে এ বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। এনিয়ে উভয়ের মধ্যে একাধীকবার মধ্যে ঝগড়াবিবাদ হয়েছে।
এদিকে ফাতেমার ৯/১০ বছরের একটি ছেলে গত দু’মাস ধরে নিখোঁজ রযেছে। এ ঘটনায় সে মাদানীনগর কওমী মাদরাসার শিক্ষক জামাল গুম করেছে অভিযোগ তুলে নারায়ণগঞ্জ আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। তার অভিযোগ ছিল কূ-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শিক্ষক জামাল ছেলেটিকে গুম করেছে। ফাতেমা নিজের ছেলেকে অনত্র সড়িয়ে রেখে প্রতারনা করে অর্থ হাসিলের জন্য এ ঘটনাটি সাজিয়েছে বলে একাধিক সূত্র জানায়।
এলাকাবাসীর ধারনা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সালামকে শায়েস্তা করতে যৌন সম্পর্ক করার প্রলোভন দেখিয়ে রাতে বাসায় নিয়ে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ তুলে দা দিয়ে কুপিয়েছে ফাতেমা। তবে কেহ কেহ এ ধারনা প্রত্যাখান করে ভিন্নমত পোষন করে ছালামকে লম্পট অখ্যায়িত করেছে।
এ বিষয়ে ফাতেমার প্রতিবেশী ভাড়াটিয়ারা জানায়, ডাকাত ডাকাত বলে ফাতেমার আতœচিৎকারে তাদের ঘুম ভাঙ্গে। পরে ঘর থেকে বের হয়। এসময় ফাতেমার ঘর থেকে একজন পুরুষকে দৌড়ে যেতে দেখে। ফাতেমার ঘরে গিয়ে দেখে অনেক রক্ত, পুরুষের এক জোড়া জুতা ও রক্ত মাকা একটি দা পড়ে আছে।
এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই ওমর ফারুক জানান, ফাতেমা পুলিশ হেফাজতে থাকলেও এ ঘটনায় পাল্টা পাল্টি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কুপিয়ে আহত করার অভিযোগে সালামের পক্ষ থেকে ফাতেমাকে আসামি করে আর ধর্ষণ করার চেষ্টা করার অভিযোগে ফাতেমা বাদী হয়ে সালামের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। ফাতেমাকে আটক করার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ফাতেমা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে, সালামের পক্ষ থেকে দায়ের করা অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু হলে তাকে গ্রেফতার করা হবে।