বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী নতুন বাজার এলাকায় একটি ধর্ষনের ঘটনা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। ধর্ষনের ঘটনাটি নিয়ে একটি ব্যবসায়ী মহল, পুলিশ ও কথিত গনমাধ্যমের কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিন্ন ভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। কথিত ওই সাংবাদিকগন ও পুলিশের ভুমিকা নিয়ে চরমভাবে ক্ষুব্দ এলাকাবাসী। তবে ধর্ষকের পক্ষে একটি প্রভাবশালী মহল অবস্থান নেয়ায় ধর্ষিতার পরিবার মামলা করতে সাহস পাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ধর্ষণের ঘটনাটি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে এলাকায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
অপরদিকে মঙ্গলবার দিনভর নতুন বাজার ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি মন্টু ও সোনামিয়া বাজার বনিক সমিতির সভাপতি সাইদুল হক ধর্ষণের ঘটনাটি মিমাংশা করার সর্বাত্মক চেষ্টা চালায়। এবং ধর্ষিতাকে ১৫ হাজার টাকাও দেয়া হয় গর্ভের বাচ্চা ফেলে দেয়ার জন্য। কিন্তু ধর্ষিতা এতে রাজি হয়নি।
জানা গেছে, নতুনবাজার (আবেদ আলী লেন) এলাকার ব্যবসায়ি নাজমুল গত মাসে তার বাসার কাজের মেয়েকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। এতে মেয়েটি অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর সিদ্ধিরগঞ্জের ‘জ’ অক্ষরের ও ‘ম’ অক্ষরের স্থানীয় সাংবাদিক দুই সাংবাদিক ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে ধর্ষকের কাছে ১ লাখ টাকা দাবি করে। এতে রাজি না হওয়ায় ওই দুই চাঁদাবাজ সাংবাদিক সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এস আই ফারুককে খবর দিয়ে ঘটনাস্থলে নেয়। এদের মধ্যে এক সাংবাদিক এস আই ওমর ফারুকের সোর্স হিসেবে কাজ করে বলে একটি সূত্র জানায়।
নতুন বাজার এলাবাসীর কয়েকজন জানায়, আদমজী শীর্ষ সন্ত্রাসী পলাতক দর্জি সেলিমের বোন জামাই শরিফ সোনামিয়া বাজার বনিক সমিতির সভাপতি সাইদুলের সাথে চলাফেরা করে। ধর্ষক নাজমুল শরীফের আত্মীয়। ফলে সাইদুল মাঠে নামে নাজমুলের পক্ষে। মঙ্গলবার নতুন বাজার এলাকায় মন্টু, সাইদুলগংরা একটি বৈঠনে বসে। ওই বৈঠকে ধর্ষিতা তাকে ধর্ষণ করার ঘটনাটি তাদের জানায়। কিন্তু তারা ঘটনাটি নিয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য ধর্ষিতাকে বলে। এবং ১৫ হাজার টাকা দিয়ে বলে পেটের বাচ্চা ফেলে দেয়ার জন্য। কিন্তু ধর্ষিতা এতে রাজি হয়নি। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়।
ধর্ষক নাজমুল আরো জানান, ধর্ষনের ঘটনাটি সঠিক নয়। আমার প্রতিযোগী ব্যবসায়ী চিকন মিন্টু মিথ্যে প্ররোচনা চালিয়ে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে। সোমবার রাত ৮টার দিকে সাংবাদিক পরিচয়ে ২ ব্যক্তি এসে আমার সাথে কথা বলতে বলতে ইপিজেডের পিছনের নির্জন রাস্তার নিয়ে যায়। সেখানে তারা এ ঘটনায় আমার কাছে এক লাখ টাকা দাবি করে ও জোরপূর্বক আমার ছবি তুলতে চায়। এ সময় আমার পরিচিত তুহিন, মানিক ও আরো একজন বিষয়টি আঁচ করতে পেরে এগিয়ে আসে। এরপর ওই সাংবাদিকরা তাদের সামনে একই ঘটনা ঘটায়। টাকা না দিলে এ ঘটনায় সংবাদ প্রকাশ করা হবে বলে হুমকি দেয়। একপর্যায়ে তারা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার দারোগা ওমর ফারুককে ডেকে নিয়ে আসে। পরে বিষয়টি আমি দারোগাকে জানালে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। পরে বিষয়টি স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের জানিয়েছি। অভিযোগ রয়েছে এস আই ফারুক ওই সাংবাদিকদের সোর্স হিসেবে ব্যবহার করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই ওমর ফারুক জানান, ধর্ষিতা বা তার পরিবারের কেউ অভিযোগ স্বীকার না কারায় নাজমুলকে গ্রেফতার করা যায়নি।
এলাকাবাসী ঘটনার মূল সত্যতা তদন্তে প্রশাসনের উধর্তন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।