বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে আর একজন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩ জন হয়েছে। রোববার ভোরে ঢাকার জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত রূপালী আক্তার (২০) পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার পানিয়ালপুকুল গ্রামে।
এর আগে, গত শনিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় রূপালী আক্তারের দেড় বছরের মেয়ে সুমাইয়া ও প্রতিবেশী মো. হান্নানের মৃত্যু হয়। হান্নানের শরীরের ৪৫ শতাংশ ও শিশু সুমাইয়ার শরীরের ৪৪ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক শাওন বিন রহমান বলেন, নিহত রূপালী আক্তারের শরীরের ৩৪ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। চিকিৎসাধীন পাঁচজনের মধ্যে শিশু দুজনের অবস্থা একটু ভালো, তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
উল্লেখ্য, সোমবার (৩ মার্চ) ভোরের দিকে সিদ্ধিরগঞ্জে টিনসেট ঘরে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ৮ জন দগ্ধ হন। ঘটনার পরপরই দগ্ধ অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে আনা হয়।
দগ্ধদের মধ্যে একই পরিবারের পাঁচজন ও আরেক পরিবারের ৩ জন। তারা হলেন, সোহাগ (২৩), রুপালি (২০), সামিয়া (১০), জান্নাত (৪), হান্নান (৪০), সাব্বির (১২), সুমাইয়া (এক বছর ছয় মাস) ও নুরজাহান লাকি (৩০)।