বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একে.এম শামীম ওসমান সিদ্ধিরগঞ্জে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকলেও জনবিচ্ছিন্ন বিতর্কিত কিছু নেতার কারণে গোপন ব্যালটে হবে ভড়াডুবি। গত সিটি নির্বাচন থেকে শিক্ষা না নিয়ে আবারো একই ভুল পথে পা বারালে আসছে সিটি নির্বাচনেও সিদ্ধিরগঞ্জে এমপি শামীম ওসমান সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আনোয়ার হোসেনের ভড়াডুবি হবে, এমন আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ঘোষিত মেয়র প্রার্থী মাহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সমর্থনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে ১০ টি ওয়ার্ডে কর্মীসভার আয়োজন নিয়ে স্বেচ্ছাচারিতা,জনপ্রিয় ও ত্যাগী নেতাদের অবমূল্যায়ন করায় সিংহভাগ নেতাকর্মী তলে তলে আনোয়ার বিরোধীতা করবে বলে মন্তব্য করছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা। ফলে বিগত সিটি নির্বাচনের মত ভুল করলে আসছে নির্বাচনে এমপি শামীম ওসমান সমর্থিত মেয়র প্রার্থী সিদ্ধিরগঞ্জে প্রকাশ্যে জয় জয়কার অবস্থানে থাকলেও গোপন ব্যালটে হবে চরম ভরাডুবি।
সূত্র মতে, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে আসছে সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী ঘোষনা করেছে এমপি শামীম ওসমান। ফলে আনোয়ার হোসেনের সমর্থনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে কর্মীসভার আয়োজন করছে। গত ২২ জুলাই ১ নং ওয়ার্ড থেকে শুরু হয়েছে এ কর্মীসভা। চলবে একটনা ১০ দিন। ব্যানারে সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ কর্মীসভার কথা উল্লেখ থাকলেও মূলত এসব সভায় মেয়র প্রার্থী আনোয়ার হোসেনের প্রতি তৃণমূল নেতাকর্মীদের সমর্থন রয়েছে কিনা তা জানতেই মূলত সভার আয়োজন। বক্তাদের বক্তব্যেও তাই পরিলক্ষিত হচ্ছে। তাছাড়া কর্মীসভায় সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীদের শোডাউন মেয়র প্রার্থীর জন্য কাল হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন অভিজ্ঞমহল।
অভিযোগ জানা গেছে, আওয়ামীলীগকে ঐক্যবদ্ধ করা ও মেয়র প্রার্থী আনোয়ার হোনের পক্ষে সকলের সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে আয়োজিত কর্মীসভায় দাওয়াত পাচ্ছেনা থানা এলাকার রাজপথের লড়াকু সৈনিক, জনপ্রিয় ও ত্যাগী নেতারা। এতে দলের সিংহ ভাগ নেতাকর্মীদের মাঝে বিরাজ করছে চরম ক্ষোভ।
নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়,সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায় দেড় লাখের মত ভোট রয়েছে। আওয়ামীলীগের ঘাটি হিসেবে পরিচিত থাকলেও বর্তমানে সিদ্ধিরগঞ্জে ভোটের হিসেবে আওয়ামীলীগের চেয়ে বিএনপি এগিয়ে। কারণ, ক্ষমতাশীন আওয়ামীলীগের যোগ্য নেতৃত্বের অভাব আর কিছু নেতার স্বেচ্ছাচারিতা ও জুলম অত্যাচারে সাধারণ ভোটারদের সিংহ ভাগই ঝুকে পড়েছে বিএনপির দিকে। তাই সিদ্ধিরগঞ্জে প্রকাশ্যে এমপি শামীম ওসমান জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকলেও গোপন ব্যালটে হবে ভড়াডুবি। তার প্রমাণ মিলেছিল গত সিটি নির্বাচনে। ওই নির্বাচনে শামীম ওসমানের জয় জয় কার অবস্থা পরিলক্ষিত হলেও বাস্তবতায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকার প্রতিটি কেন্দ্রেই শামীম ওসমানের চেয়ে দ্বিগুন ভোট বেশি পেয়েছিল সেলিনা হায়াত আইভী। বিএনপি প্রার্থী এড. তৈমুর আলম খন্দকার নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ায় ভোটের হিসেব বদলে যাওয়ার যুক্তি দেখিয়ে স্থানীয় নেতারা নিজেদের দায় এড়ালেও শিক্ষা নেওয়া উচিৎ এমপি শামীম ওসমানের। কারণ হিসেব করতে হবে শামীম ওসমান সিদ্ধিরগঞ্জে মোট কত ভোট পেয়েছিলেন। আসছে নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহন আর বর্তমান মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী নির্বাচন করলে হিসেব কি হবে তা ভাবতে হবে। কারণ বিএনপির ভোট কখনো শামীম ওসমান সমর্থিত প্রার্থী পাবেনা। আইভী নির্বাচন করলে আওয়ামীলীগের ভোট দু,ভাগে বিভক্ত হয়ে যাবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। গত নির্বাচনের মতো কারিশমা হয়ে গেলে আনোয়ার হোসেনের পরিণতি কি হবে তা অবশ্যই ভাবতে হবে বলে মনে করছেন সূত্রটি। তুরুপের টেক্কা বাইরে রেখে আশায় বুক বাঁধলেও খেলায় পরাজিত নিশ্চিত। তার পর দলের এক অংশ তলে তলে বিরোধীতা করলে পরিণাম কত ভয়াবহ হতে পারে তা চিন্তা করে নির্বাচনের আগেই সিদ্ধিরগঞ্জে কাদের মাঠে নামাতে হবে এ বিষয়টি এমপি শামীম ওসমানকে ভেবে দেখা উচিৎ বলে মনে করছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা। কারণ, এমপি শামীম ওসমানের দেয়া ইফতার মাহফিলের অনুদান, গরীব দুস্থ্যদের দেয়া ত্রাণ সামগ্রি যারা আতœসাত করতে পারে তাদের কথায় সাধারণ সমর্থকতো দূরের কথা নিজ দলের নেতাকর্মীরাও কতটুকু শোনবে তা এমপি শামীম ওসমান ভালই জানেন বলে মনে করছেন প্রবীণ নেতারা।