বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
সিদ্ধিরগঞ্জে এমডব্লিউ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ.কে.এম শহীদুল ইসলাম সরকারকে সংবর্ধনা দেয়া হযেছে। এমডব্লিউ উচ্চ বিদ্যালয়কে সাফল্যের দৌড় গোড়ায় এগিয়ে নিতে এ শিক্ষকের ভুমিকার স্বীকৃতি স্বরুপ এ সংবর্ধনা দিয়েছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, এলাকার মুরুব্বীগণ ও স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ। শনিবার দুপুরে স্কুল প্রাঙ্গনে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়। প্রথমে এ গুণী শিক্ষককে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব নায়েব আলী। পরে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের উদ্দেশ্যে মানপত্র পাঠ করেন স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য সাব্বির আহমেদ প্রধান। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা ইউনিট কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান ভূইয়া (জুলহাস), যুদ্ধকালীন ডিপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল মতিন, সদর উপজেলা কমান্ডের সহঃ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এহসান কবীর রমজান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন মোল্লা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান সাউদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সহিদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসমত আলী প্রধান, কে এম শরীফ জামান, সোহেল আহমেদ, আলহাজ্ব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, আলহাজ্ব আব্দুর রশিদ খান, সাহাবুদ্দিন প্রধান, জাকির হোসেন ও সেলিম মজুমদার। অনুষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক এ কে এম শহীদুল ইসলাম সরকারকে সম্মাননা ক্রেষ্ট তুলে দেন অতিথীবৃন্দ।
এ সময় বক্তারা বলেন, প্রধান শিক্ষক এ.কে.এম শহীদুল ইসলাম সরকার ৩৩ বছর শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছেন। ভঙ্গুর একটা প্রতিষ্ঠানকে এনেছেন সমানের সারীতে। নীরবে নিভৃতে তার এই শিক্ষার আলো বিস্তারের ফলে এ স্কুলের ছাত্রী-ছাত্রী এখন আড়াইহাজার। আমরা তার দীর্ঘায়ু ও সাফল্য কামনা করি।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৩ সালে এ স্কুলে শিক্ষকতায় প্রবেশ করেন এ কে এম শহীদুল ইসলাম সরকার। সে সময় এ স্কুলের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩’শ। ২০১১ সালে প্রধান শিক্ষকের পদ পান মহান এ শিক্ষক। সে সময় এ স্কুলে একটি মাত্র ভবনে শ্রেণী কক্ষ ছিল ১৫ টি। কম্পিউটার ছিল ২ টি। এ শিক্ষকের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় আড়াইহাজার। এ স্কুলের ভবন সংখ্যা ৩টি। যার শ্রেণী কক্ষের সংখ্যা ২৬ টি। তিনি বিভিন্নভাবে এ স্কুলে ২২ টি কম্পিউটার সংগ্রহ করেছেন শিক্ষার্থীদের জন্য। তার অবদানের কারণে এ স্কুল মানসম্মত বিদ্যালয়ে পরিণত হয়েছে বলে মনে করেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নের্তৃবৃন্দসহ এলাকাবাসী।