নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
সিদ্ধিরগঞ্জের ৪ সংবাদিকের বিরুদ্ধে ৮৯ নং তাঁতখানা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিনা মূল্যেরবই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২শত টাকা করে নেওয়ার মূলহুতা মামলাবাজ, বাটপার গাজী সেলিম আহমেদের দায়ের করা মিথ্য মামলা খারিজ করে দিয়েছে আদালত। গাজি সেলিমের দায়ের করা এ মামলায় সিদ্ধিরগঞ্জ নিউজ ক্লাবের সভাপতি মোশতাক আহমেদ শাওন, সাধারন সম্পাদক জাকির হোসেন, অর্থ সম্পাদক মনজুর আহমেদ অনিক ও সিদ্ধিরগঞ্জ রিপোর্টাস ইউনিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিনের কোন সম্পৃক্ততা না থাকায় মঙ্গলবার বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিট্রট আদালত এ মামলাটি খারিজ করে দেন। এসময় বিজ্ঞ আদালত শুনানিতে বিবাদি ৪ সাংবাদিকের জবাবে সন্তুষ্ট হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
জানা গেছে, চলতি বছরের ২ জানুয়ারী সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে মামলা বাজ, বাটপার গাজী সেলিম আহমেদ ৮৯ নং তাঁতখানা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হওয়ার সুবাদে বিনামূল্যের বই বিতরন কালে ১৩শ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২শত টাকা আদায় করেছে। এ খবর পেয়ে বিভিন্ন দৈনিক ও ইলেট্রনিক্স মিডিয়ার গনমাধ্যমের কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করে। পরে তা ইলেকট্রনিক্স মিডিয়াসহ জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকার প্রকাশিত হয়। এ ঘটনায় জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার ৩ জানুয়ারী ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি বিদ্যালয় এসে ঘটনার সত্যতা পেয়ে বিদ্যালয়ের ম্যনেজিং কমিটি বাতিলসহ প্রধান শিক্ষককে সাময়কি বহিষ্কার করে। ওই দিনই তদন্ত কমিটি বিদ্যালয়ে তদন্তনাধীন কাজ শেষ করে যাওয়ার পর বিদ্যালয় মাঠে গাজী সেলিম বিভিন্ন অশোভন বাক্য ব্যবহার করে উল্টো এলাকাবাসী ও অভিবাবকদের দেখে নেয়ার হুমকি দিলে তারা উত্তেজিত হয়ে তাকে গনধোলাই দেয়। এ সংবাদও জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকার প্রকাশিত হয়। এ সব ঘটনার বিভিন্ন তথ্য ও আলোকচিত্র সংবাদ সংগ্রহকালে সাংবাদিক শাওন, অনিক, জাকির ও জসিমকে গাজি সেলিম উৎকোচের বিনিময়ে ম্যানেজ করার প্রস্তাব দিলে তারা রাজি না হওয়ায় তাদেরকে ভবিষ্যতে দেখা নেয়ার হুমকি দেয়।
এ ঘটনার পর ১০ জানুয়ারী বিকেলে সাংবাদিক শাওন, জাকির ও অনিক গোদনাইল জাগরনি সংসদের উদ্যোগে মরহুম বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ মোল্লার স্বরণে মিলাদ মাহফিলের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে গাজী সেলিম সংবাদ প্রকাশ করার পূর্বের জের ধরে সেখানে তাদেরকে প্রকাশ্যে গালিগালাজ করে হত্যা ও মিথ্য মামলার দিয়ে হয়রানি করবে বলে হুমকি দেয়। পরে এ ঘটনায় জাকির হোসেন বাদি হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি জিডি করেন। এর দুদিন পর ১২জানুয়ারী মামলাবাজ গাজী সেলিম আদালতে গিয়ে ৪ সাংবাদিকে হয়রানির জন্য আদালতে একটি মিথ্যে মামলাটি দায়ের করে।
প্রসঙ্গত, বই কেলেংকারী ঘটনা ঘটিয়ে রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ প্রমানিত হলে গাজি সেলিমকে সিদ্ধিরগঞ্জ নিউজ ক্লাব ও চৌধুরী বাড়ি ব্যবসায়ী এসোসিয়েশন থেকে বহিস্কার করা হয়। এর পর গাজি সেলিম আরো বেপোরোয়া হয়ে ওই ৪ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যে ষড়যন্ত্র করে প্রতারনার আশ্রয় নেয় যা এখনও অব্যহত রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র জানায়।