বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ১০ দিনের ব্যবধানে পৃথক স্থান থেকে উদ্ধারকৃত অজ্ঞাত এক নারী ও দুই শিশুর লাশের রহস্য উদঘাটন করতে পেরেছে পুলিশ। তাঁরা তিনজনই একই পরিবারের মা ও সন্তান বলে পুলিশের তদন্তে বের হয়ে এসেছে। ঘটনাটিকে লোমহর্ষক বলেই অবিহত করেছেন পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
সূত্রটি জানায়, প্রথমে ১১ জুন সিদ্ধিরগঞ্জের ডিএনডি বাঁধের ইরিগেশন খালের কাছ থেকে ড্রামের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয় অজ্ঞাত এক নারীর লাশ। এর ঠিক ৫দিন পর ১৬ জুন সিদ্ধিরগঞ্জের অটি হাউজিং এলাকার আলী হোসেনর মাছের খামার থেকে বস্তাবন্দি ৬ মাস বয়সী একটি কন্যা শিশুর লাশ উদ্ধারের তিনদিন পর একই খামার থেকে একটি ব্যাগ থেকে ৫ বছর বয়সী আরও একটি অজ্ঞাত কন্যা শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এই তিনটি লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। পুলিশ প্রশাসনে শুরু হয় ব্যাপক তোলপাড়। তবে পুলিশ অধিক গুরুত্ব দিয়ে এই রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে। তদন্ত বের হয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
পুলিশের ওই সূত্রটি জানায়, ১১ জুন উদ্ধার হওয়া নারীটির নাম আঞ্জুমান এবং হাউজিং এলাকা থেকে ১৬ জুন এবং ১৮ জুন উদ্ধার হওয়া শিশু দুটি এই নারীর দুই মেয়ে। তাঁদের একজনের নাম মাহিদা অপরজনের নাম ফামিদা। তাঁরা সানারপাড় একটি বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করতেন। তাঁদের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালি জেলায়।
সূত্রটি আরও জানায়, এই তিনজনই হত্যাকাণ্ডের শিকার। যা অত্যন্ত লোমহর্ষক।
এদিকে এ প্রসঙ্গে জানতে যোগাযোগ করা হয়েছিলো নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক অঞ্চল) মো. শরফুদ্দিনের সাথে। তিনি জানান, “পুলিশ অত্যন্ত পরিশ্রম করে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত লাশগুলির পরিচয় সনাক্ত করতে পেরেছে। তাঁরা তিনজনই মা ও মেয়ে, তাঁরা নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের শিকার।”
তিনি আরও জানান, “আমরা নিরলস চেষ্টা করেছি নির্ভূলভাবে এর রহস্য উদঘাটনে। অক্লান্ত পরিশ্রম হলেও আমরা সেটি উদঘাটন করতে পেরেছি। আশা করি গণমাধ্যমকে মূল রহস্য, তথ্য উপাত্তসহ শিগগিরই বিস্তারিত জানাতে পারবো।”
তদন্তের স্বার্থের এর বেশি কিছু জানাতে তিনি আগ্রহী না হলেও তাঁদের পরিচয়, নামগুলো নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, ১১ জুন বিকেল সোয়া ৫টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের ভাঙারপুল এলাকার ডিএনডি’র ইরিগেশন খালের কাছ থেকে একটি ড্রামের ভেতর বস্তায় প্যাচানো অজ্ঞাত নারী (২৯)’র অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এরপর ঈদের দিন ১৬ জুন সিদ্ধিরগঞ্জের অটি হাউজিং এলাকার আলী হোসেনর মাছের খামার থেকে বস্তাবন্দি ৬ মাস বয়সী একটি কন্যা শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। এর ঠিক তিনদিনের মাথায় একই খামার থেকে একটি ব্যাগের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয় ৫ বছর বয়সী আরও একটি কন্যা শিশুর লাশ।