বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত মাদক বিক্রেতা শহিদুল্লাহ ওরফে কালা মানিক ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী শাহজাহান, সাজাপ্রাপ্ত আসামী দেলু ও কুখ্যাত ডিএইচ বাবুল প্রকাশ্যে এলাকায় অস্ত্রের মহড়ার পাশাপাশি ইয়াবা ও ফেনসিডিল বিক্রি করছে অহরহ। সন্ত্রাসীরা সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের নাকের ডগায় থাকলেও পুলিশের নিরব ভুমিকায় আইলপাড়া পাঠানটুলী এলাকাবাসীর মধ্যে দারুন ক্ষোভ জন্ম নিয়েছে।
জানাযায়,নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনকে সামনে রেখে আজিজুর রহমানের ছেলে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও একাধিক মামলার আসামী শাহজাহান, আব্দুল হকের ছেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত মাদক বিক্রেতা শহিদুল্লাহ ওরফে কালা মানিক, আব্দুল খালেকের ছেলে কুখ্যাত ডিএইচ বাবুল, খোরশেদ ভান্ডারীর ছেলে চাঁদাবাজ হিমেল, শাহজাহান ড্রাইভারের ছেলে সাজাপ্রাপ্ত আসামী দেলোয়ার হোসেন দেলু, মস্তান ওরফে হাসানের চেলে চোকলা সাইদুল আইলপাড়া পাঠানটুলী এলাকায় অরাজকতা সৃষ্টি করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে চাইছে। পুলিশ প্রশাসনের কাছে একাধিক অভিযোগ ও মামলা থাকার পরও মাদক সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যেই ঘুরাফেরা করে সাধারণ মানুষকে এক ভীতিকর পরিস্থির মধ্যে রেখেছে। এলাকায় নিরীহ মানুষদের জিম্মি করে বিভিন্ন পন্থায় হয়রানী করছে। আরো জানাযায়, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন আইলপাড়া পাঠানটুলী এলাকাকে সন্ত্রাস ও মাদক নির্মূলে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছিল। সেই লক্ষ্যে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সমাজকর্মীরা মাদকবিরোধী সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলে। কিন্তু মাদক সন্ত্রাসী ডিএইচ বাবুল, দেলু, হিয়াইল্যা ইয়াছিন, চোকলা সাইদুল, শহিদুল্লাহ ও শাহজাহানের অত্যাচারে যেমন এলাকাবাসী অতিষ্ঠ তেমনি ভাবে সমাজকর্মীরা নানা ভাবে তাদের দ্বারা হয়রানীর শিকার হচ্ছে। সন্ত্রাসীরা হামলা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে এলাকায় আতংক সৃষ্টি করে রেখেছে। অথচ পুলিশ সবকিছু জেনেও নিশ্চুপ থাকায় সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করছে। গত কয়েক দিনে উক্ত সন্ত্রাসীরা এলাকায় যা ইচ্ছে তা ই করছে অথচ পুলিশ নাকি তাদের খুজে পাচ্ছেনা। আইলপাড়া পাঠানটুলী এলাকায় সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গি বিরোধী কমিটি নাম দিয়ে শাহজাহান মোড়লের মাধ্যমে এলাকায় সমাজকর্মীদের শায়েস্তা করছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসন অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারে যথেষ্ট কাজ করলেও এই এলাকার অবস্থা ভিন্ন। যেখানে শাহজাহানের কাছে অস্ত্র মজুদের অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়েছে সেখানে পুলিশ তাকে কিছুই বলছে না। অভিযোগ রয়েছে কতিপয় অসাধু পুলিশের সাথে সখ্যতা থাকায় সন্ত্রাসীরা রয়ে গেছে ধরা ছোয়ার বাইরে। এখুনি তাদের গ্রেফতার কিংবা আটক না করলে এলাকায় যে কোন ধরনের বড় দূর্ঘটনা ঘটার আশংকা রয়েছে। অন্যদিকে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সমাজকর্মীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে। শাহজাহান, শহিদুল্লাহ ও বাবুল বাহিনীর মধ্যে শুভ, হামিদ, রাজিব, সজিব, শরিফ, পিলার মনির, তোফাজ্জল, রাশেদ, মোহন সহ আরো কয়েক জন চিহ্নিতরা এলাকায় দিনে ও রাতে সমাজকর্মীদের নামে মিথ্যা রিউমার ও পোস্টারিং করে মাইকের মাধ্যমে হুমকী ধামকী দিচ্ছে। এ ব্যাপারে র্যাপীড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান র্যাব, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি ও পুলিশ সুপার সহ জেলা প্রশাসক যথাযথ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে এলাকাবাসী আশাবাদী।