বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
বন্দরের সিকদার আব্দুল মালেক উচ্চ বিদ্যালয়ের সেই বিতর্কিত প্রধান শিক্ষক মাহমুদ আলী এখনো বহাল রয়েছে। তার যৌণ হয়রানিসহ শত অপকর্মের অভিযোগ থাকার পরও অদৃশ্য শক্তির বলে স্ব-পদে বহাল থাকায় গোটা স্কুল সংলগ্ন এলাকা জুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করছে। একই সাথে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে কুন্ঠাবোধ করছে। স্বাভাবিক নিয়মে বিভিন্ন এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বছরের পর বছর শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়লেও সিকদার মালেক উচ্চ বিদ্যালয়ে দিনের পর দিন কমেই চলেছে। তথাকথিত প্রধাণ শিক্ষক মাহমুদ আলী কেবল নিজের চরিত্রে কালিমা লেপন করা পর্যন্তই সীমাবদ্ধই নয়,লাগামহীন দূর্নীতি ও অনিয়মের মধ্য দিয়ে সিকদার আব্দুল মালেক উচ্চ বিদ্যালয়টিকে সে ধ্বংসলীলায় অবতীর্ণ করে চলেছে।
এদিকে সম্প্রতি অষ্টম শ্রেণির জে এস সি পরীক্ষার রেজিষ্ট্রেশন বাবদ বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফি মাত্র ৬০ টাকা হলেও তিনি ছাত্রদের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে ফি আদায় করেছেন। কিন্তু রসিদ কেটেছেন ৬০ টাকার। এই বিষয়ে অভিভাবক ও ছাত্র/ছাত্রীরা জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক কোন প্রকার সদুত্তর না দিয়ে নানাভাবে হুমকি/ধামকি প্রদান করে। তা ছাড়াও বোর্ড কর্তৃক বছরে নির্ধারিত ২টি পরীক্ষার নিয়ম থাকলেও তিনি অতিরিক্ত অর্থ আয়ের জন্য মডেল টেষ্ট পরীক্ষার নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেছেন। এটি সরকারী বিধি ও নিয়ম-নীতি বহির্ভূত। এই বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট জানতে চাইলে কোন প্রকার সদুত্তর না দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান। সরকারী নিয়মের বাইরে অতিরিক্ত পরীক্ষা ও ফি আদায়ের বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানালে বিষয়টি তার জানা নেই বলে জানান।