আ’লীগের প্রার্থী’র পক্ষে কাজ করার ঘোষনা দিলেও
কাশিপুর ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন সংগ্রহ করলেন মোমেন শিকদার
নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে ফতুল্লার কাশিপুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার ঘোষনা দেয়ার কয়েকদিন পর বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন আওয়ামীলীগ নেতা মোমেন শিকদার। তিনি সম্প্রতি আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পাওয়ার আশায় উপর মহলে দৌড়ঝাপ চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে দলীয় প্রার্থী ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদলের পক্ষে কাজ করার ঘোষনা দিয়ে শো-ডাউনও করেন এবং হাজারো জনতার উদ্যেশে বক্তব্য দেন। কিন্তু বুধবার হঠাৎ কি উদ্যেশে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার আগ্রহ প্রকাশ করে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করায় স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এমনকি মোমেন শিকদারের এমন অনৈতিক কর্মকান্ডে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন।
জানা যায়, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় কেন্দ্রীয় ভাবে দল থেকে প্রতিটি ইউনিয়নে একজন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতে করে ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের একাধিক প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আশায় দৌড়ঝাপ চালায়। কাশিপুর ইউনিয়নে একাধিক প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করায় দলের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দেয়। এতে করে স্থানীয় এমপি শামীম ওসমান তৃনমূলের নেতাকর্মীদের সাথে আলোচনা করে দলের মধ্যে বিশৃংখলা অবসানের লক্ষে এম সাইফউল্লাহ বাদলকে নির্বাচন করার আহবান করেন। এমনকি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রধান ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাক্ষরিত দলীয় ভাবে সাইফউল্লাহ বাদলকে প্রার্থীতা চুড়ান্ত করেন। আর এতে করে কাশিপুর বর্তমান চেয়ারম্যান ও থানা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক মোমেন শিকদার দলীয় সিদ্ধান্ত স্বাগত জানিয়ে নির্বাচন থেকে সড়ে এসে দলীয় প্রার্থী এম সাইফউল্লাহ বাদলের পক্ষে কাজ করার ঘোষনা দেন। কিন্তু চেয়ারম্যানীর লোভ সামলাতে না পেরে মোমেন শিকদার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার চিন্তায় বুধবার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
এদিকে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতারা অভিযোগ করেন, কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোমেন শিকদার উন্নয়নের নামে বিভিন্ন সরকারী প্রজেক্টের টাকা আত্মসাত করে দূর্নীতি হিসাবে আখ্যায়িত হন। তিনি আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান হয়েও দলের নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন না করে অন্য দলের নেতাদের সাথে আতাত করে নানা ধরনের অনিয়ম করে আসছিল। এতে করে কাশিপুরবাসী উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে শামীম ওসমান এমপি হওয়ার পর ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদলের প্রচেষ্টায় আরসিসি ঢালাইসহ কাশিপুরের রাস্তার ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়। কাশিপুরের যে ভাবে উন্নয়ন হয়েছে তা ইতিহাস হয়ে থাকবে। আর আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় ভাবে সাইফউল্লাহ বাদলকে মনোনয়ন দেয়ায় কাশিপুরবাসী আনন্দিত হয়ে উঠেন। কারন সাইফউল্লাহ বাদল জনপ্রতিনিধি না হয়ে যেভাবে কাশিপুরের উন্নয়ন করেছে তা বলার অবকাশ রাখে না। আর তিনি যদি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তাহলে কাশিপুরকে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসাবে গড়ে তুলবে। কিন্তু মোমেন শিকদার দলীয় প্রার্থী বিপক্ষে যদি নির্বাচন করেন তাহলে তার পরিনতি কি হবে সময় তা বলে দিবেন বলে মন্তব্য করেন কাশিপুর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সাধারন নেতাকর্মী।
মোমেন শিকদারের সাথে আলোচনা করলে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের কথা শিকার করলেও তিনি বলেন, আমি নির্বাচন করার জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করিনি। আমার সমর্থীত লোকদের মন রক্ষায় আমি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি।