বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
এক ঝাক কলম যুদ্ধা নিয়ে আনন্দঘন পরিবেশে কেক কেটে সাংবাদিক হাবিবুর রহমান বাদলের ৬৪তম জন্মদিন পালন করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে শহরের ৬ সনাতনপাল লেনে অবস্থিত দৈনিক ডান্ডিবার্তা কার্যালয়ে জন্মদিন পালন করা হয়।
এদিকে হাবিবুর রহমান বাদলের জন্মদিনে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব, নারায়ণগঞ্জ ক্লাব লিঃ সহ বিভিন্ন সামাজিক,রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানানো হয়। হাবিবুর রহমান বাদল জনপ্রিয় দৈনিক ডান্ডিবার্তার প্রকাশক ও সম্পাদক, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি, ইত্তেফাকের স্টাফ রিপোর্টার ও নারায়ণগঞ্জ নিউজ অনার্স এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি।
সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,সাংবাদিক আবুল হোসেন, ইত্তেফাকের ফটো সাংবাদিক তাপস সাহা,ডান্ডিবার্তার বিভাগীয় সম্পাদক জাহাঙ্গীর ডালিম,দৈনিক যুগান্তর ও ডিবিসি চ্যানেলের নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি রাজু আহমেদ,বন্দর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দেশরূপান্তরের জেলা প্রতিনিধি মোবারক হোসেন খান কমল,যুগান্তরের আলামিন প্রধান,দৈনিক ডান্ডিবার্তার বার্তাসম্পাদ নাসির উদ্দিন,ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহিম,বন্দর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারনসম্পাদক মহিউদ্দিন সিদ্দিকী জেলা ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সবুজ,সমকাল ও ডান্ডিবার্তার ফটো সাংবাদিক মেহেদী হাসান সজিব, ডান্ডিবার্তার প্রতিনিধি মাসুদ আলম,সময় নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি দেলোয়ার হোসেন,ফতুল্লা প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক সেলিম হোসেন।
মিলাদ ও দোয়া মাহফিল শেষে কেট কেটে জন্মদিন পালনের আয়োজন করেন ডান্ডিবার্তার পাঠক ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহাঙ্গির ডালিম।
হাবিবুর রহমান বাদল ১৯৫৭ সালের পহেলা জুন নারায়ণগঞ্জের দেওভোগ পাক্কা রোডে সংলগ্ন মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মরহুম মোঃ ফকির চাঁন মিয়া ও মরহুমা সাহারা খাতুনের ৪ পুত্র, ৪ কন্যার মধ্যে হাবিবুর রহমান বাদল জৈষ্ঠপুত্র। তিনি গলাচিপা প্রাইমারী স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা জীবন শুরু করেন। নারায়ণগঞ্জ হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাস করার পর ১৯৭৬সালে ঢাকা কলেজে পড়ার সময় খন্ডকালীন সাংবাদিকতা শুরু করেন। ৮২ সাল পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন দৈনিক ও সাপ্তাহিক কাজ করার পর ১৯৮৩ সালে হাবিবুর রহমান বাদল দৈনিক ইত্তেফাকের নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি হিসাবে যোগদান। পরবর্তিতে তিনি দৈনিক ইত্তেফাকের স্টাফ রিপোর্টার পদে উন্নীত হন। ১৯৯৬ সালে নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত প্রথম দৈনিক শীতলক্ষা তার সম্পাদনায় প্রকাশ লাভ করে।
২০০৩সালের ১ জানুয়ারী হাবিবুর রহমান বাদলের সম্পাদনা ও প্রকাশনায় দৈনিক ডান্ডিভার্তার আতœপ্রকাশ ঘটে। হাবিবুর রহমান বাদল ১৯৮৮ থেকে ১৯৯০ সাল ও ১৯৯২ সাল থেকে ১৯৯৪ সালে পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৯৮ সালে এবং ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি নির্বাচিত হন। হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে বর্তমান বহুতল ভবন নির্মাণ কমিটির সদস্য সচিব হিসাবে প্রেসক্লাব নির্মাণে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন। নারায়ণগঞ্জ নিউজ অনার্স এসোসিয়েশনের। হাবিবুর রহমান বাদল ৩ কন্যা ও ১ পুত্র সন্তানের জনক। আশির দশকের শেষ দিকে “নারায়ণগঞ্জবাসী কেমন আছেন?” শীর্ষক সিরিজ রিপোর্ট ছাড়াও একাধিক সাহসি প্রতিবেদনের কারণে হাবিবুর রহমান বাদলের উপর একাধিক বার হামলা মামলার ঘটনা ঘটেছে। শুধুমাত্র বিএনপির শাসনামলেই তার বিরুদ্ধে এক সাংসদের ইন্ধনে ২৬টি মামলা হয়। বর্তমান সরকারের আমলেও বস্তুনিষ্ঠ ও আলোচিত প্রতিবেদন প্রকাশের কারণে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী কয়েক নেতা বেশ কয়েকটি মামলা করেন। প্রায় চার দশকে হাবিবুর রহমান বাদলের একাধিক প্রতিবেদন আলোচিত হয়েছে। তার লেখা নারায়নগঞ্জবাসী কেমন আছেন? প্রতিবেদন নিয়ে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ব বিদ্যালয়ের একছাত্র পিএইচডি করেছেন। নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক মহলে যার নাম শ্রদ্ধার সাথে উচ্চারণ করতে হয় সে মানুষটি হল দৈনিক ইত্তেফাকের স্টাফ রিপোর্টার ও স্থানীয় বহুল প্রচারিত দৈনিক ডান্ডিবার্তার সম্পাদক আমাদের প্রিয় আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান বাদল ভাই। বাদল ভাই সম্পর্কে সাংবাদিকতা জীবনের শুরু থেকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের পক্ষ নিয়ে আপোষহীনভাবে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে তার কলমের মাধ্যমে। যার ফলে তিনি বারবার হাম-মামলার স্বীকার হয়েছেন। কিন্তু তারপরও অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ থেকে বিরত রাখতে পারেনি। মাথা নত করতে পারেনি কোন রক্ত চক্ষু বা পেশীশক্তি। তিনি সৎ সাহস নিয়েই ন্যায়ের পক্ষে অটল ছিলেন আছেন এবং থাকবেন। বাদল ভাই তার সততা ও নিষ্ঠার সাথে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লিখে সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন। তারই সফল নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক ডান্ডিবার্তা। এক ঝাক কলম যুদ্ধা নিয়ে তিনি ডান্ডিবার্তার মাধ্যমের অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষহীন যুদ্ধ অব্যাহত রেখেছেন। তিনি তার সততার স্বাক্ষর রেখেছেন নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক মহলে হয়েছেন ব্যাপক প্রশংসিত।