স্টাফ রিপোর্টার,বিজয় বার্তা ২৪
সরকার দিনে দিনে দেশের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৫ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ‘মৌলিক অধিকার, বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে স্বাধীনতা ফোরাম নামের একটি সংগঠন।
রিজভী আহমেদ বলেন, সরকার ভারতে ট্রানজিট দিচ্ছে। এটা ট্রানজিট নয় এটা কড়িডোর। মাত্র ১৮৮ টাকা সামান্য ফি দিয়ে এই সুবিদা দেওয়া হচ্ছে ভারতকে। আসলে এটা ফি না আসল ফি হচ্ছে ভোটার বিহীন সরকারকে সমার্থন ফি। তাই জনগণ জানতে চায় কত দামে ভারতের কাছে দেশের স্বাধীনতা বিক্রি করে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর নামে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দিয়েছেন। ভারতে বসে সরকারের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র হয়নি। বিষয়টি নিকুত পার্টির মেন্দিও পরিষ্কার করেছেন। ভারত বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম দেশ। আপনারা ভোটার বিহীন সরকার হওয়ার পরও সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। তারা মোসাদকে তাদের দেশে এনে সভা করেছে এ জন্য তাদের বিরুদ্ধে বন্ধুপ্রতিম প্রতিবাদ করতে পারতেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপির কোনো নেতা আজ যদি ফরিদপুরে কোনো অনুষ্ঠানে যান আর কালকে যদি আওয়ামী লীগ বলে সেখানে বসে ওই নেতা সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছে তা কেউ বিশ্বাস করবে ? আর ভারতে বসে আসলাম চৌধুরী ষড়যন্ত্র করলো এ কথাও কেউ বিশ্বাস করে না। উদ্দেশ্যমূলকভাবে সরকার তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
জিয়াউর রহমান সম্পর্কে সরকারি মহলের এত বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ কেন এমন প্রশ্ন করলে রিজভী বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন এটাই আওয়ামী লীগের জ্বালা। শেখ মুজিবুর রহামন তো স্বাধীনতার জন্য আলোচনা করেন নাই। তিনি আলোচনা করেছেন ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য। তিনি দেশের স্বাধীনতা চাননি। চেয়েছেন ক্ষমতা।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মাদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খান, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডবোকেট সানা উল্লা মিয়া, নির্বাহী কমিটির সদস্য খালেদা ইয়াসমিন, এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ।