স্টাফ রিপোর্টার,বিজয় বার্তা ২৪
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিকল্প নেই- এই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে শৃঙ্খলার সাথে সমৃদ্ধ ও আলোকিত বাংলাদেশ গড়তে নতুন প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
বুধবার ঐতিহাসিক পতাকা উত্তোলন দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে পতাকা উত্তোলন শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।
কলাভবনের সামনে ঐতিহাসিক বটতলায় অনুষ্ঠিত আলোচনা, দেশাত্ববোধক গান ও নৃত্যানুষ্ঠানে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।
অনুষ্ঠানে বক্তারা পতাকা উত্তোলন দিবসের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের অবদানের কথা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর। অনুষ্ঠানে সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ ও নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস নিয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে এবং দায়িত্বহীন ও বিকৃত মন্তব্য অনেকেই করছেন। আমাদের বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে একই সঙ্গে করা হচ্ছে কটাক্ষ।
এ সময় তিনি স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সচেতন থাকার আহ্বান জানান।
নতুন প্রজন্মের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘সাড়ে সাত কোটি বাঙালির প্রতিটি পরিবারে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চিহ্ন, রয়েছে বীরত্ব গাঁথা। উপাচার্য লেখক মুস্তফা চৌধুরী লিখিত ‘৭১-এর যুদ্ধশিশু অবিদিত ইতিহাস’- শীর্ষক গ্রন্থের উল্লেখ করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অনেক বিরল উপকরণ, উপাদান ও তথ্য অজানা রয়েছে। যুদ্ধশিশুরা পশ্চিমা দেশে বড় হয়েছে এবং বসবাস করছে। আমাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে যোগসূত্র স্থাপনের দায়িত্ব নিতে হবে। ’
উপাচার্য আরও বলেন, ১৯৭১সালের ২মার্চ এই ঐতিহাসিক বটতলায়ই প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। যা বাঙালির স্বাধীনতা আন্দোলনের এক অনন্য মাইলফলক। ভাষা আন্দোলনের শহীদ এবং মুক্তিযুদ্ধের অসংখ্য শহীদদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে যে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে তার অগ্রযাত্রাকে কেউ রোধ করতে পারবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ও সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছে, তরুণ প্রজন্মকে এই সত্যকে প্রচার করতে হবে, সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করতে হবে।’