বিজয় বার্তা২৪ ডটকমঃ
পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ সমুদ্র অর্থনীতির বিপুল সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ করার আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় জ্বালানি, খাদ্য পণ্য, মাছসহ বিভিন্ন সম্পদ রয়েছে। এসব সম্পদ কাজে লাগানোর অফুরন্ত সম্ভাবনা ও সুযোগ রয়েছে। দেশের ব্যবসায়ীরা এখানে বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পারেন।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার মিলনায়তনে ‘সমুদ্র অর্থনীতি : নতুন দিগন্ত, নতুন সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সেমিনারের আয়োজন করে।
ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাশেম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনের সমন্বয়কারী পরিচালক ইঞ্জিঃ আকবর হাকিম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অফ মেরিন সাইন্স অ্যান্ড ফিশারিজ বিভাগের অধ্যাপক সাইদুর রহমান চৌধুরী, ব্লু ইকোনোমি সেল-এর অতিরিক্ত সচিব গোলাম সফিউদ্দিন, ঢাকা চেম্বারের পরিচালক খন্দকার রাশেদুল আহসান, সাবেক ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি আলহাজ আব্দুস সালাম ও এম এস সেকিল চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।সেমিনারে বাংলাদেশ নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্টদূত পানপিমুন সোয়ানাপুনসে, মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার নূর আসহিকিন বিনতে মোহা তাইয়িব এবং ব্রুনাই দারুসসালামের হাইকমিশনার মাশুরিয়া মাশুরি উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম ইউনিটের সচিব রিয়ার এ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম।
পানি সম্পদমন্ত্রী বলেন,কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের ফলে বাংলাদেশ বঙ্গোবসাগরে নতুন সমুদ্রসীমা অর্জন করতে পেরেছে এবং এখন সময়ে এসেছে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে এর সুফল ভোগ করার। তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করতে হলে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৭-৮ শতাংশে উন্নীত করতে হবে এবং এ ক্ষেত্রে আমাদের সমুদ্র সম্পদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
তিনি সমুদ্র সম্পদ কাজে লাগানোর জন্য অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের পণ্য পরিবহনের ৯০ শতাংশ হয়ে থাকে সমুদ্র পথে এবং মৎস্য সম্পদের ১৭ শতাংশ আসে গভীর সমুদ্র হতে। এছাড়াও প্রায় ৩০ লাখ মানুষের সাথে ওৎপ্রতোভাবে জড়িত।
তিনি মায়ানমার এবং ভারতের উদাহরণ টেনে বলেন, এ সব দেশের মতো আমাদেরও গভীর সমুদ্র এলাকায় গ্যাস ক্ষেত্র অনুসন্ধানে কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগর এলাকায় প্রতিবছর ৮শ’ মিলিয়ন মেট্রিক টন মাছ ধরা হয়, যার বেশির ভাগই করে থাকে মায়নামার ও ভারত।
ডিসিসিআই সভাপতি দেশের সমুদ্র সম্পদ আহরণ ও কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে ‘ন্যাশনাল ব্লু ওশান ইকোনোমি ডেভেলপমেন্ট পলিসি’ প্রণয়নের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে রিয়ার এ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম বঙ্গোপসাগরের এলাকায় সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য মৎস্য আহরণ, পর্যটন, গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপন এবং তেল ও গ্যাস কূপ খননের ওপর অধিক গুরুত্বারোপ করেন।