বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে সকাল ১০:৩০ টায় একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে আলোচনা পর্বে সভাপতিত্ব করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার আহŸায়ক সাইফুল ইসলাম এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক নাছিমা সর্দার। বক্তব্য রাখেন বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সদস্যসচিব আবু নাঈম খান বিপ্লব, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ছাত্রনেতা মুক্তা বাড়ৈ, সাংবাদিক ও শিক্ষক মাকসুদ ইবনে রহমান, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সাধারন সম্পাদক ধীমান সাহা জুয়েল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ সম্পাদক সুলতানা আক্তার, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সদস্য রোকন মিঞা, নবীণ বরণ উদযাপন কমিটির আহৃবায়ক আহামেদ রবিন স্বপ্ন, সদস্যসচিব হাসামিন নেছা শিফা, যুগ্ম আহŸায়ক আহমেদ হাবিব, ইফতি আহমেদ জিহাদ, সামির হাসান সিয়াম প্রমুখ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে একাদশ শ্রেণির শিক্ষাথীরা গান, নাচ, নাটক পরিবেশন করে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, শিক্ষা মানুষকে আধুনিক, সভ্য ও মানবিক করে তোলে। চিত্ত ও চিন্তার প্রতিনিয়ত বিকাশ শিক্ষার প্রধান উদ্দেশ্য। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেবল জ্ঞানচর্চা নয়, জ্ঞান সৃষ্টিরও প্রতিষ্ঠান। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার মান আজ ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। সংবিধানে সর্বজনীন শিক্ষার কথা বলা আছে। কিন্তু যারা দেশ শাসন করেছে তারা সংবিধান লঙ্ঘন করে শিক্ষাকে বাণিজ্যিকীকরণ, সাম্প্রদায়িকীকরণ করেছে, করেছে বৈষম্যমূলক। দেশে শিক্ষাকে বহুধারায় বিভক্ত করা হয়েছে। প্রতিনিয়ত শিক্ষার ব্যয় বৃদ্ধিতে শিক্ষা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, নারায়ণগঞ্জ একটি জনবহুল শিল্প এলাকা। দেশের অন্যতম ধনী জেলা। অথচ জেলায় একটি পাবলিক বিশ^বিদ্যালয় নেই। নেই কোন মেডিক্যাল কলেজ। প্রয়োজনের তুলনায় সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নগন্য। শিল্প এলাকার শ্রমজীবী সাধারণ মানুষের সন্তানেরা প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা অর্জন করতে পারে না। ফলে প্রাইমারি পর্যায় থেকেই শিক্ষার্থীদের ঝরে যাওয়া শুরু হয়। জুলাই অভ্যুত্থান ছাত্র শ্রমিক জনতার অভ্যুত্থান হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে। এই অভ্যুত্থানের মূল কথা ছিল বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা। বৈষম্যহীন শিক্ষা ছাড়া বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। অন্তবর্তী কালীন সরকার সংস্কারের কথা বললেও এখনও শিক্ষা সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিকে উত্তীর্ন হয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে প্রবেশ করেছে। কিন্তু তাদের পক্ষে খুব সীমিত পরিমানে শিক্ষার্থীরই কাক্সিক্ষত মানের উচ্চ শিক্ষা পাওয়া সম্ভব, কারণ পাবলিক বিশ্বিবিদ্যালয়ের সংখ্যা সীমিত। ফলে প্রথম থেকেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা চেপে বসে।
ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাড়ছে মাদক সেবন, আত্মহত্যার প্রবনতা।
<span;>নেতৃবৃন্দ বলেন, সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে কিছু সংস্কার যথেষ্ট নয়। সত্যিকার বৈষম্যহীন সমাজ সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা। তাই বৈষম্যহীন সমাজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠার জন্য সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম শক্তিশালী করতে হবে।