বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম সফিকুজ্জামান বলেছেন,
সত্যিকার অর্থে সমস্ত এই খাদ্য ব্যবসায়টা পাঁচ ছয়টা করপোরেট গ্রুপের কাছে চলে গেছে। তারা যদি চায় থিউরিটাকালি এই রকম জিনিষের তারা ক্রাইসেস তৈরি করতে পারে এটাই বাস্তবতা। আমাদের দেশে এমন কোন আইন নাই যে যিনি ঔষধ তৈরি করতে পারবেন না বা মুড়ি ভাজতে পারবেন না চানাচুর তৈরি করতে পারবেন না। অনেকেই বলেন তারা সব কিছু করেন। কিন্তু তারা তো আইনের বাইরে তো কিছু করেনি।
বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের মিলনায়তনে নারায়ণগঞ্জে ভোজ্যতেল ক্রয়-বিক্রয়ে অনিরাপদ ড্রাম ব্যবহার বন্ধে কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এর যৌথ উদ্যোগে ওই কর্মশালাটি প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, সামনের দিকে একটা ভয়াবহ অবস্থা আসছে। চাল, ডিম, বয়লার মুরগি ও তেলের উপর তাদের হাত পরেছে। এই করপোরেট কালচার বিদেশে পজেটিভ সেন্সে আছে কিন্তু বাংলাদেশে এটি নেগেটিভ সেন্সে চলে যাচ্ছে। এই করপোরেট কালচারের কারনে বাংলাদেশের হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ এসএমই কিন্তু বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে একটা সময় পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে। যে কোন সময় যে কোন পন্য আরো অস্থির হয়ে যেতে পারে। সেই জায়গা গুলোতে আমাদের কাজ করতে হবে। আমরা সবাই মিলে যদি বলি আমরা খোলা তেল ড্রামের তেল আমরা বর্জন করছি। এটা আপনারা আর বিক্রি করতে পারবেন না। এই জিনিষগুলো দরকার এই জনমত টা তৈরি করা দরকার তখন তারা বন্ধ করতে বাধ্য হবে।
তিনি আরো বলেন, আগে আমরা দেখতাম, অবসরের পরে মানুষের হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে, কিন্তু এখন ত্রিশ বছরের ছেলেদেরও অহরহ এটি হতে দেখা যাচ্ছে৷ তবে মিডিয়ার কল্যাণে জনসাধারণ এখন সচেতন হচ্ছেন৷ নারায়ণগঞ্জে এখন ৫০-৬০ লক্ষ মানুষ বসবাস করেন৷ ঐতিহ্যগতভাবেই এই জেলার লোকেরা ব্যবসা করে থাকেন৷ হার্টের রিং, ডায়বেটিকের স্ট্রিক পর্যন্ত নকল হচ্ছে৷ কী ভয়াবহ ব্যাপার৷ খলিল যখন কমদামে মাংস বিক্রি শুরু করলো, তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হলো৷ আমরা খলিলকে স্যালুট জানাই, তাকে সংবর্ধনা দিয়েছি আমরা৷
এসময় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হকের সভাপতিত্বে ওই কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম সফিকুজ্জামান। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের বিভাগীয় প্রধান (রোগতত্ত্ব ও গবেষণা) প্রফেসর সোহেল রেজা চৌধুরী ও কনসাল্টেন্ট মুশতাক হাসান মুহ. ইফতিখার এবং সোহেল আক্তার, পরিচালক, নারায়ণগঞ্জ জেলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি।
কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এর প্রজেক্ট ম্যানেজার ড. রীনা রাণী পাল, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালকগণ ও সহকারী পরিচালকগণ, নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সেলিমুজ্জামান, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিবৃন্দ, ভোক্তা সাধারণ এবং অংশীজনসহ জেলা পুলিশ ও স্বাস্থ্য খাতের প্রতিনিধিসহ চেম্বারের ব্যবসায়ি এবং সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডাররা উপস্থিত ছিলেন।