বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
খুন, অস্ত্র, বিষ্ফোরক, মাদক ও মারামারি মামলার আসামী দেলোয়ার হোসেন দেলুর বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ৪(১২) ১৫ মাদক মামলার চার্জশীট দাখিল করেছে নারায়ণগঞ্জ আদালতে। চার্জশীট নং ২১। দেলু পলাতক থাকায় চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত দেলুর বাড়ীর মালামাল ক্রোক করার আদেশ দিলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ বাড়ীর মালামাল ক্রোক না করে দেলুকে গ্রেফতার দেখায়। পরবর্তী সময়ে ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত চার্জশীট গ্রহণ করে মামলাটি জজ কোর্টে প্রেরণ করেন। জজ কোর্ট মামলাটি শোনানির জন্য আগামী ১লা সেপ্টম্বর তারিখ ধার্য্য রাখেন। এদিকে দেলু জামিনে বেরিয়ে এলাকায় তার সহযোগীদের নিয়ে ফের বেপোরোয়া হয়ে উঠে। এলাকাবাসী দেলুর জামিন বাতিল ও সর্বোচ্চ শাস্তি দাবী করেছে।
জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পূর্ব এনায়েত নগর তিতাস এলাকায় শাহাজাহান ড্রাইভারের কুখ্যাত ছেলে দেলোয়ার হোসেন দেলু ও মোঃ জয়নাল এর ছেলে ছালাম সংঘবদ্ধ হয়ে ইয়াবা বিক্রি করছিল। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের এস.আই জহিরুল ইসলাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে হাতে নাতে ছালামকে আটক করলেও সু-চতুর দেলু দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় আটকৃত ছালাম শিকারউক্তি মূলক জবান বন্দিতে বলেন দেলোয়ার হোসেন দেলু মাদক এর ডিলার। দেলুর মালই ছালাম সহ আরো কয়েকজন পাইকারী বিক্রি করে। এঘটনায় থানা পুলিশ ১৯৯০ সনে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯ (১) এর ৯ (খ)/২৫ ধারায় বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। অভিযোগ পত্রে সাক্ষী হিসাবে রাখা হয় ৯ জন-কে। অভিযোগ পত্রে বলা হয় ১০০ পিছ ইয়াবা উদ্ধার যার মূল্য ৩০ হাজার টাকা আলামতের মধ্যে দুই পিচ ইয়াবা টেবলেট রাসায়নিক পরিক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। দেলোয়ার হোসেন দেলু এই মামলায় পলাতক থাকা অবস্থায় দেলুকে নিরব হত্যা মামলায় থানা পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠালেও এই মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখায়নি। যার ফলে বিজ্ঞ আদালত দেলুর বাড়ীর মালামালএর ক্রোকের আদেশ দেয়। তখন পুলিশ মাদক মামলায় কারাবন্দি দেলুকে আটক দেখায়। এই মামলায় দেলু সম্প্রতি জামিনে বেরিয়ে এসে এলাকায় মাদক সিন্ডিকেট যেমনিভাবে পরিচালনা করছেন তেমনিভাবে স্থানীয় ভূমি দস্যু গডফাদার সন্ত্রাসীদের মোটা অংকের মাসোয়ারা দিয়ে সমাজ কর্মী ও সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছে। মামলাটি বর্তমানে বিচারের জন্য জজ কোর্টে বদলি হলে আদালত আগামী ১লা সেপ্টম্বর শোনানির দিন ধার্য্য করেন। এদিকে দেলু সিদ্ধিরগঞ্জ আইলপাড়া পাঠানটুলি এবং বন্দরের মদনগঞ্জে বেপোরোয়া হয়ে উঠায় পুলিশ সুপারের এবং বন্দর থানা পুলিশ ও সিদ্ধিরগঞ্জ পুলিশের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।