বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
বন্দরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নামধারী যুবলীগ নেতা সন্ত্রাসী খান মাসুদের নিয়ন্ত্রিত দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই পক্ষের নারীসহ অন্তত ১০/১২ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে বন্দর থানা পুলিশ।
সোমবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বন্দর থানাধীন মুকুলদি এলাকায় ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতা এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলার নুরবাগ এলাকার মো. রাজু আহমেদ ওরফে স্ট্যান্ড রাজু এবং চিনারদী এলাকার আকিব হাসান রাজু ওরফে টোকাই রাজু বাহিনীর মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। উভয় বাহিনীকে বন্দরের কুখ্যাত সন্ত্রাসী এবং বন্দরের অপরাধের হোতা খান মাসুদ নিয়ন্ত্রণ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
বন্দর থানা যুবলীগ কর্মী দুই রাজু গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জড়ানো সংঘর্ষের ঘটনায় তিন জনের আবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
রাজু আহমেদের পক্ষের ছনখোলা এলাকার মামুন, নাসির ও অপু এবং আকিব হাসান রাজুর পক্ষের চিনারদী এলাকার নিলুফা বেগম, কল্যান্দি এলাকার রহিম, হাফেজীবাগ এলাকার মতিন মিয়ার ছেলে আব্দুল, র্যালি আবাসিক এলাকার সামাদ মিয়ার ছেলে রুবেল, জামাইপাড়া এলাকার জাহিদ ও মুখফলদি এলাকার সাইফুল। এর মধ্যে রহিমের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।
ঘটনার প্রতক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, সন্ত্রাসী খান মাসুদের আকিব রাজু গ্রুপ ও রাজু আহমেদ গ্রুপের অনুসারীরা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ান। উভয় গ্রুপের সন্ত্রাসীরা সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এলাকায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেন। এই নিয়ে এলাকায় থম থমে পরিবেশ বিরাজ করছিলো। হঠাৎ দুপুরের দিকে মুকুলদি এলাকায় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এতে এলাকায় কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও কাটেনি আতঙ্ক।
তবে স্থানীয় একটি সূত্র বলছে, নুরবাগের রাজু ও চিনারদীর রাজু উভয়ই যুবলীগ নেতা নামধারী কুখ্যাত সন্ত্রাসী খান মাসুদের অনুসারী। তাদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এর আগেও একাধিকবার মারামারি হয়েছে। তাদের দ্বন্দ্ব মেটাতে রোববার নিজের অফিসে ডেকে উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করিয়ে দেন খান মাসুদ। এর একদিন পরেই উভয়পক্ষ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়ায়। চিনারদী এলাকার আকিব হাসান রাজু ওরফে টোকাই রাজুর বিরুদ্ধে রয়েছে অসংখ্য অভিযোগ। থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এই রাজু খান মাসুদের নেতৃত্বে এতদিন অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে বলে জানায় স্থানীয়রা।
এই বিষয়ে কথা বলতে খান মাসুদের মুঠোফোনের নম্বরে একাধিকবার কল করেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি।
এই বিষয়ে বন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় ৪জন গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি আছেন। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।