নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
বুধবার দুপুর ১টায় নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় অবস্থিত জেলা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচি স্থানীয়ভাবে উদ্বোধন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম ও আরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক অঞ্জন দাস, প্রতিবেশ আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক তারিক মাহমুদ, নারী সংহতির নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক নাজমা বেগম, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মশিউর রহমান রিচার্ড, নারী সংহতির নারায়ণগঞ্জ জেলার সম্পাদক পপি সরকারসহ নেতৃবৃন্দ।
গণসংহতি আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, উল্লেখ্য যে, গত ২৭, ২৮ ও ২৯ নভেম্বর তৃতীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে জনগণের নিজস্ব রাজনৈতিক শক্তির নেতৃত্বশীল দল হিসেবে ‘গণসংহতি আন্দোলন’ একটি রাজনৈতিক দল আকারে আত্মপ্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০০২ সালের ২৯ আগস্ট গণসংহতি আন্দোলন বেশ কয়েকটি গণসংগঠনকে সাথে নিয়ে একটি জাতীয় রাজনৈতিক প্লাটফর্ম হিসেবে যাত্রা শুরু করে। এই গণসংগঠনগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, বাংলাদেশ বহুমুখী শ্রমজীবী ও হকার সমিতি, নারী সংহতি, বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি, প্রতিবেশ আন্দোলন ও বাংলাদেশ কৃষক-মজুর সংহতি তাদের স্ব স্ব ক্ষেত্রে লড়াই-সংগ্রামে নেতৃত্বমূলক সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। মুক্তিযুদ্ধে জনগণের আকাক্সক্ষার রাষ্ট্র ও সংবিধান প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি অসাম্প্রদায়িক, সার্বভৌম গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ নিয়ে গণসংহতি আন্দোলন বাংলাদেশের জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সকল আন্দোলন সংগ্রামে সাধ্যমত ভূমিকা পালন করেছে। বিশেষ করে, জাতীয় সম্পদ রক্ষার আন্দোলন, শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলন, ছাত্র আন্দোলন, নারী আন্দোলন, কৃষক আন্দোলনে সাধ্যমত সক্রিয় থেকেছে। এই সকল ধারাবাহিক তৎপরতা মানুষের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছে, সংগঠিত হওয়ার ক্ষেত্রে উদ্দীপ্ত করেছে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সাড়া ও আশাবাদ একটি পূর্ণাঙ্গ দল হিসেবে হাজির হতে গণসংহতি আন্দোলনকে উদ্বুদ্ধ করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে জোনায়েদ সাকি বলেন,পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের উপর যে নির্যাতন করা হয়েছে তা কেবল অন্যায়ই নয় ,সাংসদ সেলিম ওসমান সীমালঙ্গন করেছে। যা কোন ভাবেই একজন সাংসদ করতে পারেন না। শ্যামল কান্তি ভক্ত একজন মুক্তিযোদ্ধাও বটে। অবিলম্বে সাংসদ সেলিম ওসমানকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় এনে শ্যামল কান্তি ভক্তকে প্রধান শিক্ষক পদে পুনবহাল করার দাবি জানান।
তিনি আরো বলেন, গণতন্ত্রকে উন্নয়নের বিরোধী হিসেবে দেখিয়ে বর্তমান সরকার কার্যত দেশকে একটি জবাবদিহিতাহীন লুণ্ঠনের রাজত্বে পর্যবসিত করেছে। অন্যদিকে একই রকম লুণ্ঠন ও স্বৈরতন্ত্রের রাজনীতি করা বিএনপি-জামাত জোটকেও জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। বাংলাদেশে একটি উৎপাদনমুখী, জবাবদিহিতা সম্পন্ন এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে দেশের স্বার্থ রক্ষার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে গণসংহতি আন্দোলন তার ভূমিকা পালন করবে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে আজ্ঞাবহ হিসেবে উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সংবিধানের ব্যক্তিকেন্দ্রিক আইন বদল করে এবং স্বাধীন নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠা করে বর্তমান সঙ্কট নিরসন সম্ভব।
সংবাদ সম্মেলন শেষে তিনি লাঞ্চিত শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে দেখতে যান এবং তার সাথে কথা বলে লড়াই চালিয়ে যাবার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন।