বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
রি-রোলিং স্টিল মিলস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে আজ বিকাল ৩ টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে রি-রোলিং ও স্টিল মিলস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরী, নিয়োগপত্র, পরিচয় পত্র, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা শীর্ষক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। রি-রোলিং স্টিল মিলস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি জামাল হোসেনের সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান মাসুম, রি-রোলিং স্টিল মিলস শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ইমাম হোসেন খোকন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল- বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা সমন্বয়ক নিখিল দাস, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হিমাংশু সাহা, আইনজীবী আওলাদ হোসেন, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আবু নাঈম খান বিপ্লব, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন সবুজ, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদ, গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি অঞ্জন দাস, রি-রোলিং স্টিল মিলস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক এস.এম কাদির, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এম.এ মিল্টন।
রাজেকুজ্জামান রতন বলেন রি-রোলিং স্টিল মিলে দুই লক্ষাধিক শ্রমিক কর্মরত। এরা ৬০-৬৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় কাজ করে, উত্তপ্ত লোহা নিয়ে কাজ করতে গিয়ে প্রায়ই শ্রমিকরা দূর্ঘটনার শিকার হয়। কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা সেখানে নেই। দূর্ঘটনার শিকার হলে ক্ষতিপূরণ দেয়া হয় না। বরং চাকরীটা হারায়। শ্রমিকরা আইনের আশ্রয় নিতে পারে না, কারণ তাদের নিয়োগপত্র পরিচয়পত্র দেয়া হয়া না। কথায় কথায় চলে ছাঁটাই-নির্যাতন।
রাজেকুজ্জামান রতন বলেন রি-রোলিং স্টিল মিলস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরীর কোন মাপকাঠি নেই। একএক কারখানায় একএক নিয়মে দেয় তাও এক ডিউটি মাত্র ৮০ টাকা থেকে ১১০ টাকা। এই টাকায় তাদের জীবন চলে না। ফলে ৫টা/৬টা ডিউটি করে তাদের জীবন অল্পেতেই নিঃশেষিত হয়ে যায়। রি-রোলিং স্টিল মিলগুলোতে শ্রম আইনের বাস্তবায়ন করার জন্য সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। মালিকদের বাধ্য করতে হবে নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র প্রদান করতে। বর্তমান বাজার দরের সাথে সংগতি রেখে মাসে কমপক্ষে ১৫,০০০/- টাকা মজুরী আইন করে নির্ধারণ করতে হবে। দূর্ঘটনায় নিহত হলে আইনত আজীবন আয়ের সমপরিমাণ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং আহত হলে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
মাহবুবুর রহমান মাসুম বলেন রি-রোলিং শ্রমিকদের আইনী অধিকারগুলো নিয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। এই বিষয়ে সরকারের সু-দৃষ্টি খুব প্রয়োজন। মালিকদেরও ভাবতে হবে এখন দিন বদলেছে আগের মত আচরণ এখন কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না।
ইমাম হোসেন খোকন বলেন, চিরকাল গরিব মেহনতি মানুষকে লড়াই করে অধিকার আদায় করতে হয়েছে। আজও রি-রোলিং স্টিল মিলস শ্রমিকদের শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তুলে তার ন্যায্য পাওনা মালিক ও সরকারের কাছ থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করেই আদায় করতে হবে।