নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার শেষ দিন ঈগলু আইসক্রিমের কর্মীদের হামলায় যমুনা টিভির সাংবাদিক ও নারী নিরাপত্তা কর্মী আহত হয়েছে।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে মেলার ভেতরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ তিন হামলাকারীকে আটক করলেও পরে অজানা কারণে ছেড়ে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মেলায় প্রবেশ করার জন্য প্যাভিলিয়ন ও সাধারণ স্টল কর্মীদের আলাদা গেট পাশ থাকে। আজ সকালে গেট পাশ ছাড়াই ঈগলুর কয়েকজন কর্মী মেলার ভেতরে প্রবেশের সময় ঘটনার সূত্রপাত হয়। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে এক নারী নিরাপত্তা কর্মীকে মারধর করে ঈগলুর কিছু কর্মী। এই হট্টগোলের ফুটেজ ধারণ করতে গিয়ে ঈগলুর কর্মীদের রোষানলে পড়েন যমুনা টিভির রূপগঞ্জ প্রতিনিধি সাংবাদিক জয়নুল আবেদিন জয়। এসময় তার মোবাইল ও মাইক্রোফোন কেড়ে নিয়ে ২০ থেকে ২৫ জন মিলে মারধর করতে থাকেন সাংবাদিক জয়কে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হামলাকারীদের হেফজতে নিতে গেলে ঈগলুর কর্মীরা বাঁধা দেয়।
আহত সাংবাদিক জয়নুল আবেদিন জয় বলেন, সকালে ঈগলু আইসক্রিম ষ্টলের কর্মচারীরা মেলায় জোর পূর্বক প্রবেশ করতে গেলে গেইটের সিকিউরিটিদের সাথে হাতাহাতি হয়। হাতাহাতির ঘটনা দেখে আমি মোবাইল দিয়ে ও ক্যামেরা পার্সন ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও করতে গেলে আমাদের উপর চড়াও হয় ঈগলুর কর্মচারীরা। একপর্যায়ে তারা আমাকে হামলা করে এলোপাথাড়ী মারধর করে। হামলাকারীরা আমার দুইটি মোবাইল ভাংচুর করে। এঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে আটক করলেও পরে তাদের ছেড়ে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমি বর্তমানে রূপগঞ্জ থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি আছি। শক্ত কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে আমার মাথায়। বারবার বমি হচ্ছে। সিটিস্ক্যানে ইন্টারনাল ইনজুরি ধরা পড়েছে ডাক্তার জানিয়েছেন। এমআরআই করলে বাকিটা জানা যাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমি হামলার শিকার হয়েছি। আমি সুস্থ হলে এ হামলার ঘটনায় মামলা করবো।
নারায়ণগঞ্জ জেলা সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী ইসলাম বলেন, ঈগলু আইসক্রিমের কর্মীদের সাথে এক নারী নিরাপত্তাকর্মীর সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে ওই নিরাপত্তা কর্মী ও যমুনা টিভির সাংবাদিক জয় আহত হন। এ ঘটনায় আমরা সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে দোষীদের শনাক্ত করছি। তবে এ ঘটনায় এখনও আমরা কোন অভিযোগ পাইনি।
প্রসঙ্গত: গতকাল (বৃহস্পতিবার) ব্লেজার স্যুয়েটারের দোকান বিএম কালেকশন ও আশিক ফ্যাশনের কর্মচারীদের দুই গ্রুপে মধ্যে সংঘর্ষের ঘটে। কর্মচারীদের সংঘর্ষে প্রথমে ৮ জন ও পরে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে ৩ পুলিশ ও পুলিশের লাঠিচার্জে আরও ১৫ জন আহত হন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাকিব হোসেন (২৮) ও হাবিব হাসান (৩২) নামের দুই দোকান কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।