নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
শীতলক্ষ্যা নদীতে চলাচলরত নৌ-যান থেকে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইলো গেট ও সাধুরঘাট এলাকায় প্রকাশ্যে চাঁদা আদায় করছে একটি চক্র। পুলিশের সহায়তায় চাঁদাবাজ চক্রটি নিয়মিত চাঁদা আদায় করছে বলে ভূক্তভোগীদের অভিযোগ। নৌ চাঁদাবাজরা দাপটের সাথে চাঁদাবাজি ও বালু ডাকাতি করার কারণে নৌ-যান শ্রমিকরা আতংকে দিন কটাচ্ছে।
জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের সাইলোগেইট, সাধুর ঘাট, বন্দর কুড়িপাড়া এলাকায় একটি চাঁদাবাজ চক্র দীর্ঘদিন শীতলক্ষ্যা নদীতে চাঁদাবাজি করে আসছে। এসব এলাকায় নদীতে প্রকাশ্যে দিন দুপুরে চাঁদা আদায়ের পাশাপাশি বালু ডাকাতি করছে চাঁদাবাজ চক্রটি। চাঁদাবাজরা প্রতিটি বালুর ট্রলার থেকে ১শ টাকা এবং অন্যান্য মালবাহী ট্রলার থেকে ২শ টাকা করে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করছে। খোদ নৌ-পুলিশের ট্রলারের লোকদের হাতেই টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছে নৌ-যান শ্রমিকরা। গতকাল সোমবার সকাল ১১ টায় শীতলক্ষ্যা নদীর সাধুর ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, প্রকাশ্যে কয়েক যুবক চাঁদা আদায় করছে। নৌ-পুলিশের ট্রলারে থেকেই চাঁদা আদায় করছে। এ দৃশ্য ক্যামেরা বন্দী করতে গেলে এক ফটো সাংবাদিককে নাজেহাল করে নৌ-পুলিশের এএসআই রুকন। এসময় কন্সটেবল রহিম ও আরিফ উপস্থিত ছিল। কয়েকজন নৌ-শ্রমিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায় চাঁদাবাজদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা না দিলে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। তাই পুলিশী ঝামেলা থেকে বাঁচতে ১/২শ টাকা দিয়ে দ্রুত এস্থান ত্যাগ করি। সাইলো গেট ও সাধুর ঘাট এলাকার নৌকার মাঝি ও একাধিক লোকজন জানায়, শীতলক্ষ্যা নদীর এ স্থানে নিয়মিত সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চাঁদা আদায় হয়ে থাকে। একটি চক্র প্রতিটি ট্রলার থেকে ১ থেকে ২শ টাকা হারে দৈনিক কমপক্ষে অর্ধ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করছে। মাঝে মাঝে পুলিশের টহল থাকলেও চাঁদাবাজি বন্ধ হয় না বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। টহলরত নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই রুকন উদ্দিন চাঁদা আদায়ের সাথে নৌ-পুুলিশ জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে জানায়, চাঁদাবাজির অভিযোগ পেয়েই নৌ পুলিশ টহল দিচ্ছে।