বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
মাগুরা ও ঠাকুরগাঁওসহ সারা দেশব্যাপী কন্যা শিশু ও নারী ধর্ষণ, হত্যা, নির্যাতন, উত্ত্যক্তকরন ও যৌন হয়রানিসহ সকল প্রকার সহিংসতার প্রতিবাদে ও দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ও সামাজিক অনাচার প্রতিরোধ কমিটি, নারায়ণগঞ্জ জেলা এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের মেট্রো হল সংলগ্ন প্রধান সড়কে এই কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি রীনা আহমেদ।
বক্তব্য প্রদান করেন- জেলার সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লক্ষ্মী চক্রবর্তী, জেলা খেলাঘরের সংগঠক শিশির চক্রবর্তী, সাংবাদিক আল-মামুন, আন্দোলন সম্পাদক সাহানারা বেগম, তরুণী সংগঠক তিথি সুবর্ণা।
সভায় বক্তারা বলেন- অদ্ভুত এক ঘোড়ার পিঠে চলছে স্বদেশ। দূর্বৃত্তরা যা খুশী, তাই করছে। সরকার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর যেন কোন কিছু করার নেই। মব জাস্টিসের কারণে নরপশুরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাদের টার্গেটে পরিণত হয়েছে কন্যা শিশু ও নারী। এছাড়াও উগ্র মৌলবাদীদের ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ির সুযোগে নরপশুরা সারাদেশে কন্যা শিশুদের টার্গেট করে নোংরা খেলায় মেতেছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে মাগুরার আট বছরের কন্যা শিশু, ঠাকুরগাঁও -এর পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী, দিনাজপুর ও মুন্সিগঞ্জের ছয় বছরের কন্যা শিশু, সিলেট বিয়ানীবাজারের দুই বছরের কন্যা শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে, এই অপরাধের কি ব্যাখ্যা দেয়া যায়? এরকম সারা দেশ থেকে আরো অনেক খবর আসছে। সামাজিক অবক্ষয় ও আইনের শাসন নেই বলেই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পুরুষ শ্রেণীর মধ্যে এত এত বিকৃত রুচির কাপুরুষেরা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। পুরুষ সমাজের উচিত এই কুলাঙ্গারদের প্রতিরোধ করা। তা না হলে পুরুষদের এই দল ভুক্তই মনে হবে। পূর্বে বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি চালু ছিল। কিন্তু এখন, অভ্যুত্থানের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে না কেন? দিনাজপুরে ৬ বছরের কন্যা শিশুকে ধর্ষণকারী সাজাপ্রাপ্ত আসামি ৬/৭ বছর পর কিভাবে জেল থেকে মুক্ত হয় ? এর জবাব কে দেবে? ফলে অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘরে-বাইরে নারী ও কন্যা শিশুরা হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। দ্রুততম সময়ে নারী ও শিশু ধর্ষণ, হত্যা, নির্যাতন ও সহিংসতা বন্ধ, নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। যেখানেই নির্যাতন, ধর্ষণ, হত্যা সেখানেই নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। সর্বোপরি দেশে দ্রুত আইনের শাসন ব্যবস্থা চালু করতে হবে। নারী ও পুরুষ নয়, মানুষ হিসেবে একে অপরকে সম্মান করতে হবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে এ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তা না হলে দেশ চরম অন্ধকারে তলিয়ে যাবে।
মানববন্ধনে জেলা ও পাড়া কমিটির অর্ধ শতাধিক সদস্য অংশগ্রহণ করেন