নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
বন্দরের হাজী পিয়ার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে নির্যাতন ও লাঞ্ছনার জন্য দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও শাস্তির দাবি এবং তার সুচিকিৎসা ও স্বপদে বহালের দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার বিকাল ৫টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবি ও বাংলাাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা বাসদ সমন্বয়ক নিখিল দাসের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবি জেলা সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, সিপিবি সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ চক্রবর্তী, বাসদ নেতা নাসিক কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাস, শ্রমিক ফ্রন্টের জেলা সভাপতি আবু নাঈম খান বিপ্লব, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক ধীমান সাহা জুয়েল, সিপিবি নেতা আব্দুল হাই শরীফ।
এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন- গত ১৩মে শুক্রবার ধর্মের অবমাননার অভিযোগ তুলে সাংসদ সেলিম ওসমান উক্ত স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি ও তাদের অনুসারীরা প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে মারধর ও কান ধরে উঠবস করিয়েছে, তা শুধু নারায়ণগঞ্জবাসী নয় পুরো দেশবাসীকে অপমান করেছে। একজন আইন প্রণেতা আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে চরম মূর্খতার পরিচয় দিলেন। এই গুরুতর অপরাধের জন্য সাংসদ সেলিম ওসমানের সদস্যপদ বাতিল করে স্কুলের গভর্ণিং বডির সভাপতি ফারুকসহ সকল দায়ী ব্যক্তিদের বিচার ও শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ইতিমধ্যেই উক্ত সাংসদের নির্দেশেই একটি তদন্ত কমিটি করে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়। এটি চরম ধৃষ্টতা। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার বিষয়টি যে ভূয়া তা প্রমানিত হয়েছে। প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে স্কুল থেকে সরিয়ে গভর্ণিং বডির সভাপতির বোনকে উক্ত পদে বসানোর জন্যই এই ষড়যন্ত্র।
নেতৃবৃন্দ শিক্ষামন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, অবিলম্বে প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে তার স্বপদে বসানো এবং সরকারি উদ্যোগে তার চিকিৎসা করা হোক। অসহায় শিক্ষক শ্যামল কান্তির পাশে না দাঁড়িয়ে উপরন্তু অপরাধীদের বাঁচানোর তৎপরতায় তথাকথিত হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের কঠোর সমালোচনা করেন নেতৃবৃন্দ। সারাদেশ আজ মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে। তনু, শিক্ষক রেজাউল করিমসহ ধর্মীয় গুরু, বিদেশী নাগরিক কেউই রেহাই পাচ্ছে না, কোন বিচার হচ্ছে না, ফলে খুনীরা আজ বেপরোয়া। সরকারদলের নেতাকর্মীদের ছত্রছায়ায় সংখ্যালঘু নির্যাতন, সম্পত্তি দখলের উৎসব চলছে। তাই আজ মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনার ধারায় দেশকে আনতে হলে সরকারের সকল অপশাসন, গুম, খুন, ধর্ষন, নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনগনের প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহর প্রদক্ষিন করে।