স্টাফ রিপোর্টার,বিজয় বার্তা ২৪
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আনার অভিযোগ তুলে নারায়ণগঞ্জে শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার ঘটনার প্রতিবাদে ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে।
গত শনিবার নারায়ণগঞ্জে মদনপুর ইউনিয়নের পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে স্থানীয় সাংসদ সেলিম ওসমানের উপস্থিতিতে কান ধরে ওঠ-বস করিয়ে সাজা দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই/তিন দিন যাবৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ থেকে শুরু করে দেশের সাংবাদিকসহ বিশিষ্টজনরাও থেমে নেই তাদের নিজেদের মতো করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে।
এ বিষয়ে সাংবাদিক প্রবীর সিকদার তার ফেসবুক ওয়ালে প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, দেশে এখন ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দেওয়ার লোক দ্রুতই বেড়ে চলেছে ! দারুণ সুসংবাদ ! কি বলেন জাতীয় পার্টির মহান সাংসদ ও তাঁর দালাল অনুসারীরা ?
অনুষ্ঠান সঞ্চালক টিংকু চৌধুরী তার ফেসবুকে কান ধরা অবস্থায় একটি ছবি মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পোস্ট করেন। তিনি স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘কান ধরলাম, নেতা আসলেই ওঠ-বস করব…।’
অভিনেতা ইরেশ যাকের তার ফেসবুকে কান ধরে বসে আছেন এমন অবস্থায় একটি ছবি পোস্ট করেছেন সোমবার।
কয়েকটি অনলাইন পত্রিকার বিনোদন সাংবাদিক কান ধরে ছবি পোস্ট করেছেন এবং ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘উই আর সরি স্যার…।’
টেলিভিশন সাংবাদিক ওমর ফারুখ তার ফেসবুকে কান ধরার ছবি পোস্ট করেন। তার ছবির পেছনে লেখা ছিল, ‘সরি স্যার।’
এ রকম আরো অনেকেই বিভিন্নভাবে তাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ফেসবুকে। এমনকি অনেকে ফেসবুকে ‘কান ধরে হোক প্রতিবাদ’ নামে পেজ খুলেছেন। তাতে অনেকেই লাইক ও কমেন্ট করেছেন।
‘কান ধরে হোক প্রতিবাদ’পেজে লেখা হয়েছে, ‘নারায়ণগঞ্জের পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে উঠবস করানোর প্রতিবাদে আমরা কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকব। আমাদের উদ্দেশ্য ঘটনার প্রতিবাদ জানানো নয়, শ্যামল কান্তি ভক্ত স্যারের প্রতি ক্ষমা চাওয়া। এতে যদি প্রতিবাদ হয়, তাহলে প্রতিবাদ, না হলে নাই। আর যারা প্রতিবাদে আসতে পারবেন না, তারা কান ধরে ফেসবুকে প্রোফাইল পিকচার আপলোড করতে পারেন।’
এ ছাড়া মঙ্গলবার সকালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে কান ধরে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। আধা ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা সারা দেশে শিক্ষকদের বিভিন্নভাবে হয়রানির প্রতিবাদ জানান।