নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
ধর্মীয় অনূভূতিতে আঘাত হানা শিক্ষকের কান ধরে উঠবস’র ঘটনা প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব হান্নান সরকার। সম্প্রতি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত সংবাদের প্রেক্ষিতেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিএনপি সমর্থিত এ কাউন্সিলর। ১৬মে সংঘটিত সেদিনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে এক প্রতিক্রিয়ায় কাউন্সিলর হান্নান সরকার সাংবাদিকদেরকে বলেন, ১৬মে যা ঘটেছিল তার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে বলবো সেদিন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সেলিম ওসমান যা করেছেন তা সত্যিকার অর্থেই প্রশংসনীয় কাজ করেছেন। কারণ,তিনি যদি সেইদিন ওই শিক্ষককে কান ধরে ওঠবস না করালে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হতো,হয়তোবা সংঘর্ষের রূপ নিতো এ কারণে অগণিত লোকের মৃত্যুও হতে পারতো। কিন্তু সাংসদ সেলিম ওসমান অত্যন্ত বিচক্ষনতার সাথে সেই পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছেন। সু কৌশলে তিনি যেভাবে হাজার হাজার উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করেছেন তাতে তো উনি ধন্যবাদ পাওয়ার কথা অথচ আজকে দেশ জুড়ে তাকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। তৎসময় বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান,একজন এএসপি,বন্দর থানার ওসি,ইউএনও এমনকি বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন। পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকার একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে বলবো শেষ পর্যায়ে সাংসদ যেটি করেছেন সেটি কোন দোষের নয় কারণ,বৃহৎ স্বার্থে ক্ষুদ্র স্বার্থ ত্যাগ করতে হয়। যেখানে হাজার হাজার উত্তেজিত জনতা প্রধাণ শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত’র ফাঁসির দাবিতে মিছিল করে এমনকি জুতার মালাও গলায় পড়িয়ে দেয়ার দাবি জানায় সেখানে কান ধরে উঠবস করিয়ে জীবন বাঁচানোটাকে আমি দোষের কিছু দেখছিনা। তবে হ্যা শ্যামল কান্তিকে এর আগে যারা মারধর করেছে লাঞ্চিত করেছে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। আর শ্যামল কান্তিও যদি ধর্মীয় অনূভূতিতে আঘাত হেনে থাকে তাহলে প্রচলিত আইনে তার বিরুদ্ধেও কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া উচিত।