বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজামের সাথে আঁতাত করে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী ভূঁইয়া।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুপুরে ফতুল্লার আজমেরীবাগ এলাকায় অবস্থিত ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী ভূঁইয়া বলেন, বিগত আওয়ামীলীগের শাসনামলে ১৭ বছরে শামীম ওসমানের ও তার সন্ত্রাসী শাহ নিজামের সৈনিক হিসেবে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মনিরুল আলম সেন্টু। সেন্টু নিজের মুখেই বলেছেন যে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন৷ ১৭ বছর শামীম ওসমান ও তার অনুগত সন্ত্রাসী শাহ নিজামের সাথে আঁতাত করে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছে৷
তিনি আরো বলেন, সেন্টু ছাত্রজনতার আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ২৫ জুলাই ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভায় ছাত্রজনতাকে সন্ত্রাসী, নৈরাজ্যকারী ও দূর্বৃত্ত আখ্যা দিয়ে তাদেরকে প্রতিরোধেরও ঘোষণা দেয়। শামীম ওসমানকে পীর আখ্যা দেয়া সেন্টু বিগত বছরগুলোতে আওয়ামী লীগের অনেক মিছিল-সমাবেশেও অংশ নিয়েছে। অথচ এই সেন্টুকে বিএনপিতে পুনর্বাসিত করার চেষ্টা করছেন থানা বিএনপির সভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটু ও সহসভাপতি হাজী শহীদুল্লাহ। তারা পৃথক অনুষ্ঠানে সেন্টুর পক্ষে বক্তব্য রেখেছেন। যারা সেন্টুসহ আওয়ামীলীগের দোসরদের বিএনপিতে পুর্নবাসিত করার চেষ্টা করবে, তাদেরকে যেন দল থেকে বহিস্কার করা হয়। সেন্টুর মতো আওয়ামীলীগের দোসরদের আমরা বিএনপিতে মেনে নিতে পারিনা। যারা তাদেরকে পুনর্বাসিত করার চেষ্টা করবে তাদেরকেও আমরা প্রতিহত করবো।
দলে ফিরতে সেন্টুর আবেদনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরাও পুরো বিষয়টি দলের হাইকমান্ডে জানিয়েছি৷ সেন্টুর বিষয়ে সকল তথ্যপ্রমাণ আমাদের কাছে রয়েছে৷
এসময় তার সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মো. সুলতান মাহমুদ মোল্লা, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খন্দকার মো. আক্তার হোসেন, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাসান মাহমুদ পলাশ, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, সাবেক ছাত্রদল নেতা সীমান্ত প্রধানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।