বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন সময়ে আরিফ মিয়া নামের এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ:৪ আসনের সাবেক সাংসদ একেএম শামীম ওসমানকে প্রধান আসামি করে ১৪৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলায় আরো ৪শ থেকে ৫শ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। গত ১ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী আরিফ মিয়া নারায়ণগঞ্জ আদালতে মামলার জন্য আবেদন করে। তারই প্রেক্ষিতে গত ৯ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের আমলি আদালত-৮ এর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানাকে মামলাটি গ্রহণ করার নির্দেশ দেন। পরে শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে আদালতের নির্দেশনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা মামলাটি রুজু করা হয়। শনিবার বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম। তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা মামলাটি রুজু করেছি।
মামলায় অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছে, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি.এম কাদের (৭০), মহাসচিব মো. মজিবুল হক চুন্নু (৬০), সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আ:লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া (৭০), নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সাবেক সভাপতি আসিব হাসান মাহমুদ (৫৫)সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। মামলাটিতে নারায়ণগঞ্জ ছাড়াও পাবনা, চাঁদপুর, রাজধানী ঢাকার উত্তরা, দক্ষিণখান দনিয়া, ডেমরা, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া, চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ, ভোলার লালমোহন, কুমিল্লার দাউদকান্দি, চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় অনেক ব্যাক্তিদের আসামী করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে তুলে ধরা হয়েছে, সবশেষে ১৯ জুলাই দুপুর আড়াইটায় সিদ্ধিরগঞ্জের প্রো- অ্যাকটিভ হাসপাতালের সামনে আরিফসহ ছাত্র- জনতা একত্রিত হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সময়ে ১ থেকে ১০ নং আসামির নির্দেশে এবং ১১ থেকে ২০ নং আসামির উস্কানিতে মামলায় উল্লেখিত সকল আসামিরা আন্দোলনকারীদের উপর অতর্কিতভাবে গুলিবর্ষণ করা শুরু করে। তখন আসামিরা ভুক্তভোগী আরিফ মিয়াকে উদ্দেশ্য করে গুলি চালালে তার ডান পায়ের হাঁটুতে গুলিবিদ্ধ হয়ে সড়কে লুটিয়ে পড়ে। এসময় আসামীরা তাকের এলোপাতারি ভাবে পেটাতে থাকে। পরে তাকে মৃত ভেবে আসামীরা ফেলে রেখে চলে যায়। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলের লোকজন তাকে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে রাজধানীর মুºা ইসলামিয়া হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।