বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা। বিগত দিনের প্রতিটি উৎসবই সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে পালন করেছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সাধারণ মানুষ আমাদের সহযোগিতা করে থাকে। আসন্ন শারদীয় দূর্গাপূজা যেন সবাই সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন করতে পারে তার জন্য আইন শৃঙ্খাবাহিনী বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।
শনিবার সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা প্রাঙ্গণে আসন্ন শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে সদর মডেল থানার আয়োজনে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুরজ্জামান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক, নারায়ণগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শঙ্কর কুমার সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুজন সাহা, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপক কুমার সাহা, সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার শিপন, যুগ্ম সম্পাদক কমলেশ সাহা, উত্তম সাহা, নিমাই দে, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত মন্ডল, প্যানেল মেয়র শারমিন হাবিব বিন্নি, কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না, অশিৎ বরণ বিশ্বাস, মহিলা কাউন্সিলর খোদেজা খানম নাসরিন, নারায়ণগঞ্জ জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফী উদ্দিন প্রধান, নারায়ণগঞ্জ জেলা আটা, ময়দা মিলস মালিক সমিতির সভাপতি মতিউর রহমান প্রমুখ।
তিনি আরো বলেন,আইন শৃঙ্খলা বাহিনী পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হবে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হবে ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য দুই নং গেইট ও চাষাঢ়া এলাকার আশেপাশে অসাধু দুশকৃতিচক্র ও ছিনতাইকারী হতে রক্ষা করে উৎসব মুখর পরিবেশে সবাই যাতে পূজা উদযাপন করতে পারে তার পুলিশ প্রশাসন কাজ করবে।
শহরের যানজট সমস্যার বিষয়ে তিনি বলেন, যানজট এককভাবে সমাধান করা সম্ভব না। শহরের বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের সাথে আলোচনা করে তার সমাধান করতে হবে। পূজার সময়ে বিকাল ৫টার পর থেকে শহরের যে সব স্থানে পূজা মন্ডপ আছে তার আশেপাশের ফুটপাত ও দোকান এবং মিলস ইন্ডাস্ট্রিস তাদের কার্যক্রম পূজোর সময়ে বন্ধ রাখার আহ্বান করেন।
তিনি জঙ্গীবাদ প্রসঙ্গে বলেন, ১৯৭১ সালের পরাজিত শক্তিরা এদেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ সৃষ্টি করছে। সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই তারা ইসলামের নামে জঙ্গীবাদ করে দেশের উন্নয়নকে বাধাগস্থ করার চক্রান্ত করছে। যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার কার্যক্রম হতে বাঁচানোর উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা বিরোধী জামাত শিবির রাজাকার আলবদরা ইসলামের নামে জঙ্গীবাদ করে মানুষ হত্যা করছে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের সহজ সরল মানুষ কখনো জঙ্গী হতে পারে না। যারা পাকিস্তান ও আফগানিস্থানের মরুভূমির মত দেশে যারা জন্মায় তারাই সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের সাথে জড়িত। ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আমাদের দেশে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবাই একসাথে মিলে মিশে বসবাস করি।
পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা বক্তব্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জ শহরের পূজার সময়ে আমরা যানজটের কারণে পূজা উদযাপন করতে বিলম্বিত হতে হয়। বিশেষ করে শহরের নিতাইগঞ্জ একটি বানিজ্য এলাকা। শহরের বেশ কয়েকটি পূজাই এখানে হয়ে থাকে। নিতাইগঞ্জে অতিরিক্ত হারে বড় বড় ট্রাক ও ট্যাংকলরী রেখে শত শত ঠেলা গাড়ির মাধ্যমে লোড আনলোড করা হয়ে থাকে। এ জন্য আমরা পুজা উদযাপন করতে নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
তারা আরো বলেন, এই লোড আনলোড গাড়ি গুলো যদি বিকাল ৫টায় মধ্যে চলাচল সমাপ্ত করা সম্ভব হয় তাহলে আমরা যানজট হতে কিছুটা মুক্ত হবে এবং আমরা উৎসব মুখর পরিবেশের মাধ্যমে শারদীয় দূর্গা উৎসব পালন করতে পারব।
তারা আরও বলেন, পূজার সময়ে শহরের বিভিন্ন স্থান দুই নং রেল গেইট ও চাষাঢ়া এলাকায় ছিনতাইকারী ও অসাধু চক্র পুজা উদযাপন করার ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি করে। এ সব অসাধু চক্র ও ছিনতাই কারীদের কবল হতে রাতের বেলা পূজা দর্শনার্থীদের চলাচলের বিশেষ নিরাপত্তার দেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেন।