নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
শহিদ শফিকউদ্দিন আহম্মেদের বংশের সুযোগ্য সন্তান ও বন্দরবাসীর প্রাণ পুরুষ চেয়ারম্যান এহসানউদ্দিন আহম্মেদ। তিনি বন্দর ইউনিয়ন বাসীর সেবা প্রদানে দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তার করা বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় ইউনিয়নবাসী তাকে ভালবেসে ২০১১ সালে বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচনে জয়ী করেছেন।
বন্দর ইউনিয়নবাসীর সাথে আলাপকালে তারা জানান, চেয়ারম্যান এহসান আমাদের বন্দর ইউনিয়ন বাসীর একজন ভালবাসার ও সুযোগ্য চেয়ারম্যান। তার কাছে যেকোন সমস্যা নিয়ে ছুটে গেলে তিনি আমাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। ইতোমধ্যে তিনি চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় বন্দও ইউনিয়নের উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করেছেন। আমরা এইবারও তারমত একজন সুযোগ্য চেয়ারম্যান বন্দর ইউনিয়ন পরিষদে দেখতে চাই।
এদিকে নির্বাচন কমিশনের ঘোষনা অনুযায়ী মে-জুন মাসের আসন্ন বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে ঘিরে কিছু কুচক্রিমহল অযোগ্য হয়েও যোগ্যতার আসনে বসতে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। যার কোন প্রকার ভিত্তি নেই । একজন শহীদ পরিবারের সন্তান হয়ে তাকে বানানো হচ্ছে রাজাকার পুত্র। এ যেন প্রকৃত সত্য ঘটনাকে মিথ্যার বালি দিয়ে ঢাকার বৃথা চেস্টা। কথায় আছে, ইতিহাস কথা বলে। ইতিহাসের সত্য ঘটনা কখনো ঢাকা যায় না। চেয়ারম্যান এহসানের দাদা জালাল উদ্দিন আহম্মেদের ছোট ছেলে শহিদ শফিউদ্দিন আহমেদ। এহসানের এই ছোট চাচা শফিউদ্দিন আহমেদ ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর কাছে নির্মমভাবে নিহত হয়।
একসময়ের আলোচিত জাতীয় দৈনিক বাংলা পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সূত্রমতে জানা যায়, পূর্ব ইয়াহিয়ার সামরিক সদস্যদের নিষ্ঠুর হত্যা যজ্ঞ আর অকথ্য নির্যাতনের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে যারা প্রাণ দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের তরুণ সমাজকর্মী শফিউদ্দিন আহমেদ (শফি ভাই) তাদের অন্যতম। পবিত্র ঈদুল ফিতরের দৃুদিন আগে অফিস আদালতের প্রবাসী কর্মচারীরা ঈদ উদযাপন করার জন্য ঈদ বোনাসসহ কেনাকাটা করে শীতলক্ষ্যা নদী পেরিয়ে গ্যান্ডষ্টাঙ্ক রোড ধরে যাবার সময় হানাদার দস্যূরা তাদের সর্বস্ব ছিনিয়ে নিতে শুরু করলে শফি ভাই এগিয়ে যান এবং দস্যুদের কাছে লুণ্ঠন বন্ধ করার অনুরোধ জানায়। কিন্তু হানদাররা তা না করে ছিনিয়ে নিল শফি ভাইয়ের অমূল্য জীবন।শফিউদ্দিন আহমেদ(৩০) বন্দর ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিভাগীয় কাউন্সিলের একজন তরুণ সদস্য ছিলেন। এটা তার বড় পরিচয় নয়। তার বড় পরিচয় তিনি একজন দক্ষ ফুটবলার ও জনপ্রিয় সমাজ কর্মী ছিলেন। তিনি নবীগঞ্জ নিবাসী জালাল উদ্দিন আহম্মেদের দ্বিতীয় পুত্র।
উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালের ২ই ফেব্রুয়ারী তৎকালিন ঢাকা পুলিশের অফিসার ইনচার্জের দেয়া ও ২০১০ সালের ১১ ই ফেব্রুয়ারী বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল জাহের’র দেয়া শফিউদ্দিন আহমেদের মৃতজনিত সনদপত্র থেকে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার ৯ নং ওয়ার্ডের মৃত জালালউদ্দিন আহম্মেদের ছেলে শফিউদ্দিন আহম্মেদ ১৯৭১ সালের ১৭ ই নভেম্বর পাকিস্থানী সেনাবাহিনীর কাছে নির্মমভাবে নিহত হয়।
এ ব্যাপারে বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসানউদ্দিন আহম্মেদের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি জানান,স্বাধীনতা যুদ্ধের পূর্বে আমার দাদা ছিলেন বৃহত্তম বন্দর ইউনিয়ন কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। আর আমার চাচা শফিউদ্দীন আহম্মেদ বন্দর ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ। তাদেও সৃত্মি স্বরন রেখে জনগনের অনুরোধে স্বাধীনতার ৪০-৪৫ বছর পর আমি নির্বাচন অংশ গ্রহনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ছিলাম এবং সেই সময় আমাকে বন্দর ইউনিয়নের জনসাধারণ বিপুল ভোট জয়ই করেন। যারা আমি এবং আমার পরিবারের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য চাচা শহীদ শফিউদ্দীন আহম্মেদকে নিয়ে কুটক্তি করে রাজাকার আখ্যা দেয় তাদেও প্রতি আমি তীব্র নিন্দা জানাই।
শহিদ শফিউদ্দিন আহমেদের ছেলে মিনহাজ উদ্দিন আহম্মেদ জানান, আমার বাবা একজন সমাজসেবক ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালে পাক হানাদারদের কাছে নিহত হয়ে শহিদ হয়। অথচ তাকেই রাজাকার বলা হচ্ছে। কিছু কুচক্রিমহল আমার চাচাত ভাই চেয়ারম্যান এহসানকে সহ আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এটা আমাদের শুধু বিস্মিত নয়, আহত করছে। আমারা ভাবতেও পারিনি মুখোশধারীরা এমন নোংরা খেলায় মেতে উঠবে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।