বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
শরিফ খান নামে যে ব্যক্তির দেয়া তথ্য অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচল এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে, সেই শরিফ র্যাবের সোর্স হিসেবে কাজ করতেন বলে দাবি করেছেন তার স্ত্রী ফাহিমা বেগম।
শুক্রবার দুপুরে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি করেন।
পূর্বাচলের ব্লু সিটি হাউজিং ও ৫ নম্বর সেক্টরের যে কৃত্রিম লেক থেকে অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে, সেখান থেকে ৮-১০ কিলোমিটার উত্তরে নারায়ণগঞ্জের দাউদপুর ইউনিয়নের বাগলা গ্রামে শরিফ খানের বাড়ি। তিনি দুই দফায় বেশ কয়েক বছর বিদেশে ছিলেন।
ফাহিমা বেগম আরও জানান, শরিফ ১০ বছর সৌদি আরবে ছিলেন। ২০০৬ সালে দেশে ফেরেন। তারপর তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের আট মাস পর তিনি আবার দুবাই চলে যান। সেখানে দুই বছর থেকে ফিরে আসেন। দুবাই থেকে ফেরার পর শরিফ র্যাব-১১-এর সোর্স হিসেবে কাজ করতেন। দুই বছর ধরে তিনি ওই কাজে জড়িত ছিলেন। পরে শারীরিক অসুস্থতার কারণে কাজ ছেড়ে দেন।
শরিফ ইয়াবার ব্যবসা করতেন বলে স্বীকার করেছেন তার স্ত্রী ফাহিমা। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, শরিফ জমি কেনাবেচার ব্যবসায় ধরা খেয়ে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। তবে অস্ত্র রাখার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। তার দাবি, শরিফ এটা রাখেননি। কেউ শত্রুতা করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
তবে র্যাব-১১-এর অধিনায়ক কামরুল হাসান গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেন শরিফ খান র্যাবের সোর্স হিসেবে কাজ করেছেন এমন কোনো তথ্য তাদের জানা নেই।