বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার নন্দলালপুরের মো. রাশেদের লাশ দেশে এসেছে। মৃত্যুর ২৮ দিন পর বুধবার রাতে লাশ দেশে আসলে ফতুল্লার বাসায় আনা হয়। সেখানে স্বজনদের কান্নার আহাজারিতে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। রাতেই জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
রাতেই রাশেদদের বাড়িতে ছুটে যান সদরের ইউএনও নাহিদা বারিক ও কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু। তারা পরিবারের লোকজনদের সান্ত্বনা দেন।
নাহিদা বারিক রাশেদের মায়ের হাতে একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড ও একটি সেলাই মেশিন তুলে দেন।
রাশেদ ফতুল্লার কুতুবপুর ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ড নন্দলালপুর গ্রামের হাফিজুর রহমান ও লুৎফন নেছার দ্বিতীয় ছেলে। ছয় বছর আগে লেবাননে যান রাশেদ।
বৃদ্ধা মা লুৎফন নেছা জানান, বাবা মারা যাওয়ার পর তিনি তার চার সন্তানকে কষ্ট করে লালন পালন করেন। সুখের আশায় রাশেদকে পাঠানো হয় লেবানন।
বৈরুতে গত ৪ আগস্ট ভয়াবহ দুটি বিস্ফোরণে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২১ সদস্যসহ ১০৮ প্রবাসী আহত হন। এ বিস্ফোরণে মারা গেছেন পাঁচ বাংলাদেশি। বিস্ফোরণ এলাকা থেকে ৪০০ গজ দূরে ঝিমাইজি এলাকায় একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করতেন মোহাম্মদ রাশেদ। বিস্ফোরণে পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পাঁচ দিন পর জলদ্বীপ এলাকার হারুন হাসপাতালে তার লাশ খুঁজে পাওয়া যায়।