নারায়ণগঞ্জ,বিজয় বার্তা ২৪
বন্দরের চাঞ্চল্যকর স্ক্রিন্টপ্রিন্ট শ্রমিক লিয়ন ও কিশোর গার্মেন্টসকর্মী আয়নাল হত্যা রহস্য অবশেষে উদঘাটিত হয়েছে। লৌমহর্ষক এ হত্যাকান্ড দু’টি পৃথক সময়ে সংঘটিত হলেও হত্যাকান্ডের মোটিভ একই সূত্রে গাঁথা। পুলিশ দু’টি হত্যাকান্ডেরই প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে সক্ষম হয়েছে। ধৃত ছিনতাইকারী মুন্না নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোঃ ইসতিয়াকউদ্দিনের কাছে প্রদত্ত ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীতে হত্যাকান্ডের কথা অকপটে স্বীকার করে। মঙ্গলবার জবানবন্দীতে সে উল্লেখ করে কিশোর আয়নাল হত্যার সময় একপ্রান্তে মুন্না এবং অপর প্রান্তে আকাশ পাহারাদার হিসেবে কাজ করে। জুয়েল ও আল আমিন আয়নালকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জবাই করে ভূঁড়ি কেটে পশ্চিম হাজীপুরস্থ সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানুর লীজকৃত পুকুরে ফেলে দেয়। মূলতঃ তাদের দলের হয়ে কাজ না করায় দাওয়াতের কথা বলে ওই স্থানে নিয়ে আয়নালকে তারা নৃশংসভাবে হত্যা করে বলে স্বীকারোক্তিতে জানায়। অপরাপর ধৃত আসামী আকাশ আদালতে প্রদত্ত ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীতে ষ্ক্রিন্টপ্রিন্ট শ্রমিক লিয়ন হত্যার কথা স্বেচ্ছায় স্বীকার করে। আকাশ বর্ণনা দেয় ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই রিকশা থামিয়ে লিয়নের পথরোধ করে। টাকা মোবাইল দিতে গড়িমসি করায় আকাশ লিয়নের বুকে ও পিঠে একাধিক আঘাত করে এবং মুন্না লিয়নের পকেটে রক্ষিত টাকা ও মোবাইল ফোন হাতিয়ে নেয়। এদিকে জুয়েলের দেয়া তথ্যানুযায়ী সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানুর লীজকৃত পুকুরের পাশের জঙ্গল থেকে লিয়নকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত ধারালো ছুঁড়িটি পুলিশ বুধবার উদ্ধার করেছে। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে চাঞ্চল্যকর মামলা দু’টি ক্লু উদঘাটিত হওয়ায় পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জল করেছে। ইর্ষনীয় এ কৃতিত্বের জন্য বন্দরের সর্বস্তরের জনসাধারণ বন্দর থানার নবনিযুক্ত অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল কালাম ও ওসি(তদন্ত) নজরুল ইসলামসহ উভয় মামলার তদন্তাকারী কর্মকর্তা যথাক্রমে সাব-ইন্সপেক্টর আলমগীর হোসেন ও আব্দুর রহমানক সাধুবাদ জানিয়েছে।