বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পূণরায় চেয়ারম্যান পদে সমর্থণ চেয়ে ধামগড় ইউনিয়ন ও বন্দর ইউনিয়নে বিভিন্ন ওয়ার্ডে উঠান বৈঠক,গনসংযোগ ও নির্বাচনী ক্যাম্প উদ্বোধণ করেন বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা এমএ রশিদ। মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল বিকাল ৩টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তিনি এ প্রচারনা করেন।
এ সময় বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ রশিদ বিকেল ৩টায় প্রথমে তিনি জাঙ্গাল ষ্ট্যান্ডের সামনে ধামগড় ২নং ওয়ার্ড নির্বাচনী উঠান বৈঠক ও ক্যাম্প উদ্বোধন করেন। পরে ধামগড় হালুয়াপাড়া এলাকায় নির্বাচনী ক্যাম্প উদ্বোধন ও উঠান বৈঠক করেন। সন্ধ্যা ৬টায় ৪নং ওয়ার্ডস্থ কামতাল মালিভিটা নুরুন আলানুর এছহাকিয়া হোসাইনিয়া দাখিল মাদরাসা প্রাঙ্গনে উঠান বৈঠক করেন। এরপর তিনি ধামগড় ১নং ওয়ার্ডস্থ কাজীপাড়া এলাকায় উঠান বৈঠক করেন। এছাড়াও তিনি বুধবার রাতেই বন্দর ইউনিয়নের আ’লীগের সভাপতি নুরুজ্জামান ও সাধারন সম্পাদক এ্যাড. তাজুলসহ আ’লীগ নেতা এ্যাড.জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে বন্দর ১নং ওয়ার্ড কলাবাগ এলাকা ,২নং ওয়ার্ড চৌধুরীবাড়ি এলাকা ও সবশেষ ৩নং ওয়ার্ড নুরপুর এলাকায় উঠান বৈঠক করেন।
এ উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে বন্দর উপজেলা পূণরায় চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আ’লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এমএ রশিদ নেতাকর্মী ও ভোটারদের উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন।
এমএ রশিদ বলেন,সামনে উপজেলা নির্বাচন। আমি এসেছি আপনাদের সমর্থণ পেতে। আমার পূর্বের কর্মকান্ডের ভুলত্রুটি হলে ক্ষমা চাইতে। মানুষ মাত্রই ভুল করে। ভুল সবারই থাকে। কাজ করতে গেলে ভুল হওয়া স্বাভাবিক। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। দেশ মাতৃকার টানে এই দেশকে পাকিস্তানী নরপিচাশদের হাত থেকে বাচাতে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহন করে আপনাদের একটি স্বাধীন ভূখন্ড ও লাল সবুজের একটি পতাকা উপহার দিয়েছি। আগামী ৮ মে উপজেলা নির্বাচন। তাই একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আপনাদের পূণরায় সমর্থণ চাই। আরো অনেকে প্রতিদ্বন্দী হিসেবে এই নির্বাচনে দাড়িয়েছে। এদের মধ্যে কেউ কেউ আছে যারা এদেশকে স্বাধীণ রাষ্ট হতে বাধাগ্রস্ত করেছে। লাল সবুজের পতাকাকে কলংকিত করেছে। আমার মা বোনের স¤্রম পাকিস্তানিদের হাতে তুলে দিয়েছিল। সেই স্বাধীনতা বিরোধী উত্তরসূরীরা চেয়ারম্যান হতে মরিয়া হয়েছে। অবৈধ টাকা নিয়ে জনগনের আবেগ নিয়ে খেলা করছে। এদের মত লোক যদি চেয়ারম্যান হয় তাহলে এদেশের স্বাধীনতাকে অপমান করা হবে। লাল সবুজের পতাকা কলংকিত হবে। তাই আপনারা জেগে উঠুন। অভিমান করার সময় এখন নয়। আপনারা সবাই একজন মুক্তিযোদ্ধার সম্মান বাঁচাতে এমএ রশিদ হয়ে সবাই কাজ করুন। বিজয়ী হলে আপনাদের সাথে নিয়ে বন্দর উপজেলা বাসীর অপূরনীয় চাহিদাগুলো পূরন করব ইনশাআল্লাহ।
এ সময় বিভিন্ন ওয়ার্ডে উঠান বৈঠক ও ক্যাম্প উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলা আ’লীগের সহ সভাপতি আজিজুর রহমান,জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম আহমেদ,ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন,২৬নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও থানা আ’লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ফয়সাল কবির,আ’লীগ নেতা সোনা মিয়া,শাহজাহান মোল্লা,হুমায়ুন কবির, জাপা নেতা মাঈনুদ্দিন মানু,পিয়ার জাহান কমল,বন্দর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি নুরুজ্জামান,সাধারন সম্পাদক এ্যাড.তাজুল ইসলাম,আ’লীগ নেতা এ্যাড. জাহাঙ্গীর আলম,হুমায়ুন কবির,ধামগড় আ’লীগ নেতা নাসির উদ্দিন,আ’লীগ নেতা সামসুজ্জোহা,ধামগড় ১নং ওয়ার্ড মেম্বার বাবুল মিয়া,২নং ওয়ার্ড মেম্বার ফয়েজুর রহমান,৪নং ওয়ার্ড মেম্বার শরফুদ্দিন,আবু সাঈদ মেম্বার,চান শরিফ চান্দু মেম্বার,ইমন মেম্বার প্রমূখ।