বিজয় বার্তা ২৪ ডট কম
বন্দর উপজেলার হিন্দু সম্প্রাদয়ের লাঙ্গলবন্দ মহাতীর্থ অষ্টমী পূণ্য স্নান পালন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত করা হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, লাঙ্গলবন্দ স্নান উৎসব সুষ্ঠুভাবে উদযাপন করতে সকল ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। লাঙ্গলবন্দ স্নান উৎসবের সমস্ত এলাকায় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার আওতাধীন করা হবে। আইন-শৃংখলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ ফোর্স নিযোগ করা হবে, ডুবুরীসহ ফায়ার সার্ভিস ইউনিট প্রস্তুত রাখা হবে এবং স্থানীয় সংগঠনগুলোও স্বেচ্ছাসেবী ডুবুরী প্রস্তুত থাকবে, তীর্থ যাত্রীদের জরুরী স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের জন্য মেডিক্যাল টিম ও এ্যম্বুলেন্স এর ব্যবস্থা করা হবে । এছাড়াও পূণ্যার্থীদের পানীয় জলের জন্য টিউবওয়েল, খাবার পানির ট্যাংক ব্যবস্থা রাখা হবে, ঘাট সমুহ সংস্কার ও মেরামত, কচুরীপানা অপসারণ, নদীতে মাছ ধরার স্থাপনা সরানেরা এবং স্যানিটেশনের ব্যাবস্থা করে হবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (প্রশাসন) নূরে আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সেলিম রেজা, এফবিসিসিআইএ’র পরিচালক প্রবীর কুমার সাহা, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ’র সভাপতি সরোজ সাহা, মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শিপন সরকার শিখন, চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আবুল জাহের, জাপা নেতা রিপন ভাওয়াল, মোসাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদ, হিন্দু নেতা উত্তম সাহা, রনজিৎ মন্ডল, শ্যামল দাস সহ সকল প্রসাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দ।
একসময় লাঙ্গলবন্দের ওপর দিয়ে প্রবাহিত আদি ব্রহ্মপুত্র ছিল বিশাল স্রোতাস্বিনী।ধীরে ধীরে ক্ষীণকায় হতে থাকে আদি ব্রহ্মপুত্র।তাই বলে এই মহাতীর্থের মহিমা কিন্তু এতোটুকু ম্লান হয়নি। প্রতিবছর চৈত্রমাসের অষ্টমীতিথিতে এখানে পুণ্যস্নানের জন্য সমবেত হণ লক্ষ লক্ষ সনাতন ধর্মাবলম্বী নর নারী। সবার পরশে পবিত্র করা তীর্থ নীরে অবগাহন করে মানুষ কলুষ মুক্ত হয়।